সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে ২০ টাকা ধরে ২ শত ৭৮ টন ধান ক্রয় করছে সরকার। যার প্রতি মণ এক হাজার চল্লিশ টাকা। গত ২১ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলায় এই ধান কেনা কার্যক্রম শুরু করে খাদ্য অধিদপ্তর।
প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে যাদের কৃষি কার্ড রয়েছে, কেবল তাদের কাছ থেকে বর্তমান বাজার দরের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি মূল্যে এই ধান ক্রয় করা কথা। বর্তমানে যাদের ধান ক্রয় করছে এদের বেশি ভাগই কালোবাজারীদের মূল হোতা বলে অভিযোগ উঠে।
প্রকৃত পক্ষে যারা সাধারন কার্ডধারী কৃষক তাদের ধান গোডাউনের সামনে দিনের পর দিন পড়ে আছে। ধান ক্রয় করতে গিয়ে নানা অনিয়মের দোহাই দিয়ে ভোগান্তির মধ্যে রেখেছে বলে একাধিক কৃষকের অভিযোগ।
কৃষক আ. মান্নান, রহমতউল্ল্যাহ, চাঁন মিয়া বলেন, সরকার ধান ক্রয়ের সিদ্ধান্ত শুনে উপজেলা ওসি এলএসডি’র সাথে যোগাযোগ করেছি, কিন্তু তিনি ধানের নানান গুনগত মানের কথা বলে ফিরিয়ে দিচ্ছে।
এদিকে অনিয়ম এড়াতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়–য়া ইউনিয়ন ভিত্তিক প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে কয়েকজন করে ধান ক্রয়ের অনুমতি দিলেও তা বন্ধ হয়ে যায়। যে কারনে পুনরায় অনিয়ম হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা কৃষি অফিস থেকে পাঠানো তালিকা অনুযায়ী কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করছি। সে অনুযায়ী কৃষকদের কাছে চিটা ও ময়লা মুক্ত ১৪ ভাগ আদ্রতার ধান সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
প্রতিবেদক- জহিরুল ইসলাম জয়, ২১ জুলাই ২০১৯
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur