রমজানের শেষ দিন। চারদিকে চলছে ঈদের আনন্দ। রাত পোহালে ঈদ। প্রস্তুত চাঁদপুরের দুই শতাধিক খাবার হোটেল। পবিত্র মাহে রমজানে এক মাস খাবার হোটেল গুলো বন্ধ থাকার পর চালু করতে সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে হোটেল মালিকরা।
হোটেল শ্রমিকরা ঈদের আনন্দ কাটাতে হবে শহর থেকে গ্রামে ছুটে আসা ভোক্তাদের। চাঁদপুর শহরে উন্নত মানের খাবার হোটেল গুলোর মধ্যে রয়েছে এলইডি চাইনিজ, ক্যাফে কর্ণার, আল ইমরান, ধানসিঁড়ি, রেডছিলী ও চাঁদ হোটেল।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলে মনোরম পরিবেশে হোটেল ব্যবসা সমৃদ্ধ এলাকা বলে খ্যাত হাজীগঞ্জ বাজার। এই বাজারে বড় দশটি হোটেলসহ প্রায় মাঝারি ও ছোট ধরনের শতাধিক হোটেল রয়েছে।
অন্যতম হোটেল গুলোর মধ্যে রয়েছে, গাউছিয়া হাইওয়ে হোটেল এন্ড রেস্টুডেন্ট চাইনিজ, হোটেল গাউছিয়া, খাওয়া দাওয়া হোটেল, আল মদিনা হোটেল, নার্গিস, বসুন্ধরা, প্রিন্স হোটেল, স্টার হোটেল ও শুভ স্টার।
এছাড়া জেলার কচুয়া উপজেলায় রেদওয়ান হোটেল, হাইমচর উপজেলায় ইসলামিয়া ও তাজ হোটেল, শাহরাস্তি উপজেলায় প্যারাডাইস, আমানিয়া, সখিনা, জাহাঙ্গীর, বিসমিল্লাহ, মা ও মায়ের দোয়া হোটেল।
মতলব দক্ষিণ উপজেলার মধ্যে হোটেল গুলো হল মাদানিয়া ও মকবুল হোটেল। মতলব উত্তর উপজেলায় মক্কা হোটেল ও মুসলিম হোটেল।
ফরিদগঞ্জ উপজেলায় আউয়াল সুইটমিট, ওয়ান স্টার, শাহী হোটেল, পিপাসা ও হাজী হোটেল।
হোটেলের এক ভোক্তা হাসানুজ্জামান হাছান বলেন, রমজান মাস হোটেল গুলো বন্ধ থাকায় আমরা অনেক খুশি। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে হোটেলগুলোতে ঈদের দিন সকাল থেকে ভীড় জমতে শুরু করবে।
হোটেল শ্রমিক হেলাল বলেন, একমাস বেকার থাকতে হয়। ঈদের আনন্দ আমাদের সবসময় হোটেলে কাজের মধ্যে কাটাতে হয়।
রমজানের পর হোটেল প্রস্তুতি সম্পর্কে গাউছিয়া হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এর মালিক কাউছার হোসেন লিটন বলেন, প্রতি বছর রমজান আসলেই আমরা হোটেল বন্ধ রাখি। এই রমজানে হোটেলের বিভিন্ন মেরামতের কাজ করে নতুনভাবে ভোক্তাদের জন্য মনোরম পরিবেশ তৈরি করেছি। ঈদের দিন সকাল থেকে হোটেলে সকল ধরনের খাবার পরিবেশন করা হবে।
প্রতিবেদক- মনিরুজ্জামান বাবলু
৪ জুন ২০১৯