চাঁদপুর সদর উপজেলার ১৩ নং হানারচর ইউনিয়নে বিদ্যালয়ের সামনে থাকা ব্যবসায়ী হোসেন বেপারী কর্তৃক ৬ বছরের এক শিশু শ্রেণির শিশু ছাত্রী ধর্ষনের শিকার হয়েছে।
গত ২০ অক্টোবর বেলা ১১ টায় ওই ইউনিয়নের ১১০ নং সাপলেজা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনের একটি ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
শিশুটি বর্তমানে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আর অভিযুক্ত হোসেন বেপারী ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে শিশু ধর্ষনের বিষয়টি এলাকাবাসি জানতে পেরে ক্ষিপ্ত ধর্ষকের দোকান ভাংচুর করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ধর্ষিতা শিশু হানারচর ইউনিয়নের ১১০ নং সাপলেজা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেনির ছাত্রী।
শিশুর পিতা এবং এলাকাবাসি জানায়, ঘটনার দিন সকালে শিশুটি বিদ্যালয়ে যায়। এসময় বিদ্যালয়ের সামনে থাকা মুদি দোকানদার শিশুকে একটি চিপ কিনে দিয়ে তাকে বিদ্যালয়ের পেছনে থাকা একটি ভবনে নিয়ে ধর্ষন করে। ধর্ষনের বিষয়টি প্রথমে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানলে তারা শিশুটির পরিবারকে স্থানীয়ভাবে তার চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেন এবং সেটি ধামাচাপা দিয়ে তারা স্থানীয় ভাবে বসে মিমাংসা করবেন বলেও পরিবারকে আশ্বাস দেন।
কিন্তু মঙ্গলবার বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এর পর থেকে লম্পট হোসেন বেপারী গা ঢাকা দেয়। শিশু ধর্ষণ ঘটনার খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার এস আই জহির তদন্তের জন্য ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হানারচর গোবিন্দীয়া গ্রামে যান।
এ বিষয়ে সাপলেজা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির সদস্য বারেক শেখ বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনাটি সত্য। আমরা সেটি শুনার পর স্থানীয় ভাবে মিমাংসার কথা বলেছিলাম। কিন্তু গতকাল (২২ অক্টোবর) বিকেলে পুলিশ আসার পর থেকে আসামী পলাতক রয়েছে। আমরাও এমন ঘটনার কঠিন বিচার দাবি করছি।’
প্রতিবেদক : কবির হোসেন মিজি, ২৩ অক্টোবর ২০১৯