চাঁদপুরে পৃথক ধর্ষণের ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ ৫ কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলায় চার যুবকের ধর্ষণের ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ দুই কিশোর এবং শাহরাস্তি উপজেলায় প্রতিবন্ধিকে ধর্ষণের ঘটনায় দুই কিশোরকে আটক করা হয়।
আটককৃতদের শনিবার (১১ মে) দুপুরে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা আবদুর রশিদ জানায়, হাজীগঞ্জ উপজেলার ১০নং দক্ষিণ গন্ধর্ব্যপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড ডাটরা শিবপুর গ্রামের গাজী বাড়ী কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ায় ইউপি সদস্য অহিদুল ইসলাম ও দুই ধর্ষক গাজী বাড়ীর রফিকুল ইসলামের ছেলে এমরান হোসেন (১৯) ও সিরাজুল ইসলামের ছেলে আরেফিন ওরফে আমিনুল (২০) কে আটক করা হয়।
তিনি আরো জানান, এই ঘটনায় কিশোরী ছয় জনকে আসামী করে শুক্রবার রাতে মামলা দায়ের করেন। মামলার অপর আসামি ওই বাড়ির ইসমাইলে ছেলে রাব্বি (১৮), বিল্লাল হোসেনের ছেলে মেরাজ (২০) ও মাতাব্বর মোস্তফা কামাল (৬৫) পলাতক রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ওই কিশোরী আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। গ্রামবাসী ইজ্জত রক্ষার্থে চার যুবকের কাছ থেকে প্রায় ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে ব্যাংকে জামা রাখেন। সেই টাকা দিয়ে আজ শনিবার ওই কিশোরীর পছন্দমতো পাত্রের কাছে বিয়ের অয়োজন করেন এলাকার মাতাব্বরা। গণমাধ্যমে সংবাদ ওই বিয়ে পন্ড হয়ে গেছে।
এদিকে শাহরস্তি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহআলম চাঁদপুর টাইমসকে জানান, প্রতিবন্ধি কিশোরীর মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। কিশোরী শাহরাস্তি উপজেলার মেহের উত্তর ইউনিয়নের জমির হোসেনের মেয়ে। ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত জিহাদ কচুয়া উপজেলার চন্দিয়াপাড়া গ্রামের মোল্লা বাড়ীর মৃত ইব্রাহীম মোল্লার ছেলে জিহাদ ও একই উপজেলার আমুজান গ্রামের মৃত জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে সিএনজি চালক ফাহিম (২০) ।
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১১ মে ২০১৯