কুমিল্লার তিতাস ও দাউদকান্দি থেকে তিন ভুয়া চিকিৎসককে আটক করেছে র্যাব। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় র্যাব ১১ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাব জানায় জেলার তিতাসের জিয়ারকান্দি মোহন জেনারেল হাসপাল থেকে ইশরাত জাহান সিপু, দাউদকান্দির গৌরিপুর বাজারের পূর্ণ কেয়ার সেন্টারের আবু সাঈদ, একই বাজারে পদ্মা ডায়গনিস্টিক সেন্টারে রোগী তেখার কালে মহসিন মিয়াসহ তিন ভূয়া এববিবিএস ডাক্তার গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ১১ এর সিপিসি-২।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিপিসি-২ এর বিশেষ অভিযানে কুমিল্লা জেলার তিতাস থানাধীন জিয়ারকান্দি সাকিনস্থ ”মোহন জেনারেল হাসপাতালে” নিজ চেম্বারে রোগী দেখার সময় ভুয়া ডাক্তার ইশরাত জাহান (৩০)কে আটক করা হয়।
এ সময় তার কাছ থেকে ডাঃ ইশরাত জাহান (সিপু), এমবিবিএস, সিএমইউ এন্ড ডিএমইউ (ঢাকা), পিজিটি (গাইনী এন্ড স্বাস্থ্য) নামীয় বিপুল পরিমাণ ভিজিটিং কার্ড ও তার স্বাক্ষরসহ রোগীর দেখার প্রেসক্রিপশন, স্টেথিস্কোপ-০১টি, ভূয়া অটোসীল-০১টি, স্পেনোমিটার-০১টি জব্দ করা হয়।
এছাড়া পৃথক আরেকটি অভিযানে দাউদকান্দি থানাধীন গৌরীপুর বাজারের আমির খাঁ মার্কেটের ২য় তলায় “পূর্ণ কেয়ার সেন্টারে” নিজ চেম্বারে রোগী দেখার সময় ভুয়া ডাক্তার মোঃ আবু সাঈদ (৩৮)কে আটক করা হয়।
এ সময় তার কাছ থেকে ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ, এমবিবিএস, সিএমইউ আল্ট্রা (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), ডিএমইউ, সিপিআর (বারডেম হাসপাতাল), সিটিএম (নাক, কান, গলা, মেডিসিন), মেডিসিন, মা ও শিশু (সনোলজিস্ট) নামীয় বিপুল পরিমাণ ভিজিটিং কার্ড, রোগীর দেখার প্রেসক্রিপশন, লিফলেট ও ভূয়া অটোসীল-০১টি জব্দ করা হয়।
একই সময়ে আরোও একটি অভিযানে উক্ত এলাকার গৌরীপুর বাজারের সামিহা প্লাজার ২য় তলায় ”পদ্মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে” নিজ চেম্বারে রোগী দেখার সময় ভুয়া ডাক্তার মহসিন মিয়া (৩৯)কে আটক করা হয়।
এ সময় তার কাছ থেকে ডাঃ মহসিন আহম্মেদ সরকার, ডিএমসি, সিএইচডব্লিউ, বিএইচই, স্বাস্থ্য, সিএ ইউ আল্ট্রা, মা ও শিশু গাইনী, চর্ম ও যৌন, নাক, কান, গলা অভিজ্ঞ এক্স পিটি ইন জেনারেল হাসপাতাল কুমিল্লা নামীয় রোগীর দেখার প্রেসক্রিপশন, বিপুল পরিমাণ ভিজিটিং কার্ড, স্টেথিস্কোপ-০১টি, ভূয়া অটোসীল-০১টি, স্পেনোমিটার-০১টি জব্দ করা হয়।
র্যাব ১১ সিপিসি-২ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার প্রণোব কুমার জানান, আটককৃতদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, তাদের বাড়ি কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন এলাকায়। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ নিজেদেরকে বিশেষজ্ঞ এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে আসছিল।
র্যাবের অভিযানিক দল নিবন্ধনকৃত চিকিৎসক হিসেবে তাদের এমবিবিএস ডাক্তারি সনদ ও বিএমডিসি কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেখতে চাইলে তারা কোন এমবিবিএস ডাক্তারি সনদ ও বিএমডিসি কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেখাতে পারেনি।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরো জানায় যে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিএমডিসির নিবন্ধনকৃত এমবিবিএস ডাক্তার ও বিভিন্ন রোগের অভিজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিয়ে অনুমোদনবিহীন প্রাইভেট হাসাপাতালে নিয়মিত রোগী দেখাসহ তাদের প্রেসক্রিপশন দিয়ে আসছে।
প্রতিবেদক : জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
