চাঁদপুরে চলতি অর্থবছরের বোরো মৌসুমে সাড়ে ৭ হাজার মে.টন ধানা এবং চাল কিনবে সরকার। এর মধ্যে চাল ৬ হাজার মে.টন ,ধান ১ হাজার ৭ শ’ ৫৪ মে.টন এবং গম ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ১৭ মে.টন। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার করা লক্ষ্যে সরকারের এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
চাঁদপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের অনুমোদিত ১৭ জন মিল মালিক এসব ধান-চাল সংগ্রহ অব্যাহত রয়েছে। চাঁদপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে মঙ্গলবার (২৮ মে ) এ তথ্য জানা গেছে ।
প্রাপ্ত তথ্য মতে , চাঁদপুরে এবার সরকারিভাবে কেজি প্রতি সিদ্ধ চাল ৩৬ টাকা করে চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৫ হাজার ৬ শ’৫৪ মে.টন । এ পর্যন্ত ক্রয় করেছে ৫৭ মে .টন ।
চলতি অর্থবছরের বোরো মৌসুমে ২৬ টাকা কেজি ধরে ১ হাজার ৭ শ’ ৫৪ মে.টন চালের মধ্যে ক্রয করেছে ১৪৬ মে. টন এবং ২৮ টাকা কেজি ধরে ১৭ মে.টন গম ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ৩৫ টাকা কেজি ধরে ৩ শ ৫৫ মে.টন আতব চাল। ২৭ মে পর্যন্ত ২০৪ মে.টন ধান ও চাল কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ক্রয় করেছে খাদ্য বিভাগ।
জেলায় এর পর থেকে চাল ক্রয় শুরু করা হবে যা ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চাল ক্রয় করা হবে। কৃষকদের আপতকালীন মজুতকরারও নির্দেশ রয়েছে। একজন তালিকাভুক্ত কৃষকের কাছ থেকে সর্ব্বোচ্চ ৩ মে.টন চাল ক্রয় করতে পারবে।
খাদ্য বিভাগের সূত্রে জানা গেছে , চলতি বছরের ৭ মে ২০১৯ থেকে সারা দেশসহ চাঁদপুরের সকল উপজেলায় কৃষকদের কাছ থেকে মিলারগণ বোরো ধান ক্রয় করবে। সংশ্লিষ্ট চাঁদপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের অনুমোদিত কৃষকগণের কাছ থেকে যা কৃষিবিভাগের তালিকাভুক্ত এবং যাদের কৃষি সহায়তা কার্ড রয়েছে ও স্ব স্ব উপজেলা খাদ্য কমিটির অনুমোদিত তাদের কাছ থেকে ডিলারগণ চাঁদপুরের চাল,ধান ও গম ক্রয় করবে।
চাঁদপুরে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ইরি-বোরো উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা দু’লাখ ৪৬ হাজার মে. টন নির্ধারণ করা হয়েছে বলে চাঁদপুর খামার বাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছেন। হাইব্রিড,স্থানীয় ও উন্নত ফলনশীল এ ৩ জাতের ইরি-বোরোর চাষাবাদ করে থাকে চাঁদপুরের কৃষকরা। কম-বেশি সব উপজেলাই ইরি-বোরোর চাষাবাদ হয়ে থাকে ।
কৃষি বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, হাইব্রিড, স্থানীয় ও উন্নত ফলনশীল জাতের ইরি-বোরোর চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে এবং বাম্পার ফলনের আশাবাদী ।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুর খামার বাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে চাঁদপুর জেলায় ৬১ হাজার ৫ শ’ ৬০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৪৬ হাজার ২ শ’ ৭৪ মে.টন চাল।
চাঁদপুররে ৮ উপজলোয় ৪ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে ২০১৮- ২০১৯ র্অথবছরে ১ শ’৭১ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যে সোনালী,অগ্রণী,জনতা ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ।
চাঁদপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন,‘ সরকারি হিসেব মতে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চাল ক্রয়ের সময়সীমা রয়েছে। সে পর্যন্ত মিলারগণ ধান ও চাল সংগ্রহ করে জেলা খাদ্য বিভাগকে সরবরাহ করতে পারবে। কোনো অবস্থাই সরকারিভাবে তালিকা বর্হিভ’ত অন্যকোনো মাধ্যম থেকে ধান ক্রয়ের কোনোই সুযোগ নেই ।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘সরকারি নির্দেশ মতে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন ওই চাল ও গম জিআর, টিআর, ভিজিটি, ভিজিএফ,আপতকালীন সময়ে ১০ টাকা কেজি ধরে ও জাটকা সংরক্ষণে ভিজিফ ইত্যাদি প্রকল্পের মাধ্যমে বরাদ্দ দিয়ে থাকেন। যা স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধি কর্তৃক বিতরণ করা হয়।’
প্রতিবেদক-আবদুল গনি
২৮ মে , ২০১২৯