চাঁদপুর সদরের তরপুরচন্ডীতে বিটি রোডের পাশে শুক্রবার (৫ এপ্রিল) ফজরের নামাজ আদায়ের পর পর আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকাস্থ মিরপুরের প্রিন্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠিত অত্যাধুনিক ও মার্বেল পাথরে নির্মিত একটি দোতলা মসজিদ উদ্বোধন করা হয়।
ঢাকাস্থ প্রিন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান চাঁদপুরের কৃতি সন্তান আলহাজ্ব কাজী রুহুল আমিন এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন। জুম’য়ার নামাজ আদায়ের মধ্যদিয়ে জামে মসজিদের যাত্রা শুরু হয়।
মসজিদটি ঢাকাস্থ মিরপুরের প্রিন্স গ্রুপ স্বত্বাধিকারীগণের পিতার নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছে মরহুম কাজী আলী হোসেন জামে মসজিদ।
উদ্বোধনের সময় কাজী আলহাজ রুহুল আমিন, কাজী আলহাজ হেলাল উদ্দিন, কাজী আলহাজ বেলাল, কাজী আলহাজ রতন ও কাজী তোফাজ্জল হোসেন প্রিন্স ও প্রিন্স বাজার লিমিটেডের এরিয়া ম্যানাজার সৈয়দ আবদুল্লাহ আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকাস্থ মিরপুরের প্রিন্স গ্রুপ এর স্বত্বাধিকারীগণ দোতলা মসজিদটি নির্মিত হয়। ভারতের আগ্রার সম্রাট শাহাজাহান কর্তৃক নির্মিত তাজ মহলের পাশে অবস্থিত যে মসজিদটি রয়েছে এর ডিজাইন মতে এটি নির্মিত হয়েছে। দোতলা মসজিদটির পাশে রযেছে একটি অত্যাধুনিক এতিমখানা । এতে ১ শ শিক্ষার্থী পড়ার সকল প্রকার সুযোগ পাবে। খতিব হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে হাফেজ মাওলানা মুফতি আবদুল হাইকে। মসজিদটি বর্তমান আধুনিক কারুকার্য সম্মলিত দীর্ঘ সময়ক্ষেপণ করেই নির্মিত হচ্ছে। চার পাশ আরসিসি পিলার দ্বারা ঘেরা। সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ এর জন্যে রয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন জেনারেটর ।
প্রসঙ্গত ,প্রিন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান চাঁদপুরের কৃতি সন্তান আলহাজ্ব কাজী রুহুল আমিনের সেবাধর্মী চিন্তায় চাঁদপুরের তরপুরচন্ডীতে তাঁর গ্রামের বাড়িতে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ টি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হয় ।
এগুলো হলো:‘কাজী লজ্জাতুন নেছা মেমোরিয়ার হাসপাতাল’আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে হাসপাতাল সংলগ্ন ‘অত্যাধুনিক মসজিদ ও হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানা’এবং ৪০টি দোকান সম্মলিত একটি বাজার। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি এমপি ‘কাজী লজ্জাতুন নেছা মেমোরিয়ার হাসপাতাল’ এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন । ‘কাজী বাজার’ ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে ঢাকাস্থ প্রিন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এর ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন।
চাঁদপুর সদরের সাড়ে ৩ কি.মি.উত্তরে তরপুরচন্ডী ইউনিয়নে কাজী পাড়ায় বিটি সড়কের পাশে গেলো বছরের ৭ সেপ্টেম্বর সকাল কাজী লজ্জাতুন্নেসা মেমোরিয়াল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের যাত্রা শুরু হয়।
এছাড়া আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে ৫ শ’ মুসল্লী একত্রে নামাজ আদায় করতে পারে একটি মসজিদ নির্মাণের কাজ দ্রুত এখন গতিতে চলছে। ৫ টি গম্বুজ বিশিষ্ট এ মসজিদটিতে ১ টি দরজা ও ২৪ টি জানালা ও ৩০ আসন বিশিষ্ঠ টাইস করা ওজুখানা ও ৬টি ওয়াসরুম রয়েছে।
মসজিদ সংলগ্ন হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানায় ১০০ জন শিক্ষার্থীর আবাসন সুবিধা সম্পন্ন সকল প্রকার ব্যবস্থাসহ কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের এ দ্বীনি শিক্ষার ভার লজ্জাতুননেছা ফাউন্ডেশন আজীবনই বহন করবে।
এতিম খানা ও মাদ্রাসার শিক্ষক ও মসজিদের খতিব , মুয়াজ্জিন ও অন্যান্য কর্মচারীদের বেতন ভাতা বহনে কাজী লজ্জাতুন্নেসা মেমোরিয়াল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগণস্টিক সেন্টার ও ৪০ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্মলিত একটি শপিং সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। এর ব্যয় প্রায় ৪০ লাখ টাকা। যা ন্যুনতম মূল্যে ভাড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কাজী লজ্জাতুন্নেসা মেমোরিয়াল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগণস্টিক সেন্টারটি ৯৯ শতাংশ ভূমির ওপর তিন-তলা ভবনে এরইমধ্যেই দু’কোটি টাকা ব্যয়ে বেসরকারিভাবে নির্মিত হয়েছে। গেলো বছরের ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালটি লজ্জাতুন্নেসা ফাউন্ডেশন নামক একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। কল্যাণপুর,তরপুরচন্ডী ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়নসহ প্রায় দু’লাখ পল্লী জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
এদিকে ২০১০ সালে সংস্কার করা ষোলঘর হতে কবির চৌধুরীর বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ১০ কি.মি বিটি সড়কটি নানা কারণে ওপরের পিচঢালাই অনেক স্থানেরই উঠে গেছে এবং বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে স্বাভাবিক যান চলাচলে মারাত্মক ব্যাহত করছে। বিটি সড়কটি দ্রুত সংস্কার না করলে সরকারের ব্যয়ভার ও জনগণের দুর্ভোগ আরো অনেক গুণ বেড়ে যাবে বলে স্থানীযরা জানান।
প্রতিবেদক : আবদুল গনি
৫ এপ্রিল ২০১৯