ঢাকাস্থ প্রিন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান চাঁদপুরের কৃতি সন্তান আলহাজ্ব কাজী রুহুল আমিনের সেবাধর্মী চিন্তায় চাঁদপুরের তরপুরচন্ডীতে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ টি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করছে।
এগুলো হলো: ‘কাজী লজ্জাতুন নেছা মেমোরিয়ার হাসপাতাল’, ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে হাসপাতাল সংলগ্ন ‘অত্যাধুনিক মসজিদ ও হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানা’ এবং ৪০ টি দোকান সম্মলিত একটি বাজার।
যার নাম ‘কাজী বাজার’ ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে ঢাকাস্থ প্রিন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এর ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন।
চাঁদপুর সদরের সাড়ে ৩ কি.মি.উত্তরে তরপুরচন্ডী ইউনিয়নে কাজী পাড়ায় বিটি সড়কের পাশে গেলো বছরের ৭ সেপ্টেম্বর সকাল কাজী লজ্জাতুন্নেসা মেমোরিয়াল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও চাঁদপুর-৩ আসনের সাংসদ ডা.দীপু মনি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা.মতিউর রহমান ও অনেক স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তি ও প্রিন্স গ্রুপের উধ্বর্তন কর্মকর্তাবৃন্দ ।
এছাড়া ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩ শ’ মুসল্লী একত্রে নামাজ আদায় করতে পারে একটি মসজিদ নির্মাণের কাজ দ্রুত এখন গতিতে চলছে। ৫ টি গম্বুজ বিশিষ্ট এ মসজিদটিতে ৩ টি দরজা ও ২০ টি জানালা ও ৩০ আসন বিশিষ্ঠ টাইস করা ওজুখানা ও ওয়াসরুম রয়েছে।
মসজিদ সংলগ্ন হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানায় ৫০ জন শিক্ষার্থীর আবাসন সুবিধা সম্পন্ন সকল প্রকার ব্যবস্থাসহ কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের এ দ্বীনি শিক্ষার ভার লজ্জাতুননেছা ফাউন্ডেশন আজীবনই বহন করবে। মসজিদটি বর্তমান আধুনিক কারুকার্য সম্মলিত দীর্ঘ সময়ক্ষেপণ করেই নির্মিত হচ্ছে। চার পাশ আরসিসি পিলার দ্বারা ঘেরা। সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ এর জন্যে রয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন জেনারেটর।
এতিমখানা, মাদ্রাসার শিক্ষক ও মসজিদের পেশ ইমাম, মুয়াজ্জিন ও অন্যান্য কর্মচারীদের বেতন ভাতা বহনে কাজী লজ্জাতুন্নেসা মেমোরিয়াল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগণস্টিক সেন্টার ও ৪০ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্মলিত একটি শপিং সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে।
এর ব্যয় প্রায় প্রায় ৪০ লাখ টাকা। যা ন্যুনতম মূল্যে ভাড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কাজী লজ্জাতুন্নেসা মেমোরিয়াল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগণিস্টিক সেন্টারটি ৯৯ শতাংশ ভূমির ওপর তিন-তলা ভবনে এরইমধ্যেই দু’কোটি টাকা ব্যয়ে বেসরকারিভাবে নির্মিত হয়েছে।
গেলো বছরের ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালটি লজ্জাতুন্নেসা ফাউন্ডেশন নামক একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।
কল্যাণপুর,তরপুরচন্ডী ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়নসহ প্রায় দু’লাখ পল্লী জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
কাজী লজ্জাতুন্নেসা মেমোরিয়াল হাসপাতালটি অত্যাধূনিক স্বাস্থ্যসেবায় সবরকম ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে শিশু, সার্জিক্যাল, গাইনী, মেডিসিন, এন্যাসথিশিয়া বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।
ফার্মেসি, আউটডোর, ইনডোর, ডেলিভারি, প্যাথলজিক্যাল, ডায়াগণস্টিক, ইসিজি, এক্সরে, ওটি প্রভৃতি সেবাও থাকছে। দু’জন পুরুষ ও মহিলা চিকিৎসক, ৫ জন নার্স, ১০ জন আয়া ও ১ জন ফার্মসিস্ট সার্বক্ষণিক স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত থাকছে।
কাজী লজ্জাতুন্নেসা মেমোরিয়াল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগণিস্টিক সেন্টারটির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব কাজী রুহুল আমিন,ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো.হেলাল উদ্দিন ও ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কাজী জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু ।
ব্যবস্থাপক কাজী জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু বলেন,‘উদ্বোধনের পরের দিন থেকে স্বাস্থ্যসেবায় ১ মাস পর্যন্ত বিনামূল্যে আউটডোর সেবা দিয়েছে। এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের স্বল্পখরচে স্বাস্থ্যসেবা দেয়াই এর মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। এর পাশাপাশি এখানে একটি এতিমখানা, মাদ্রাসা ,বাজার ও একটি মসজিদ পরিচালিত হবে।’
কাজী জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু আরো বলেন,‘ চাঁদপুর সদরের গরীব-দু:খী মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় এ প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করে যাবে। লাভ নয় ; বরং সেবাই মূল লক্ষ্য। এতিমদের ধর্মীয়শিক্ষা দানই মাদ্রাসা ও এতিমখানার এর উদ্দেশ্য। তবে শিক্ষার্থী থাকবে সীমিত ।
এদিকে ২০১০ সালে সংস্কার করা ষোলঘর হতে কবির চৌধুরীর বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ১০ কি.মি বিটি সড়কটি নানা কারণে ওপরের পিচঢালাই অনেক স্থানেরই উঠে গেছে এবং বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে স্বাভাবিক যান চলাচলে মারাত্মক ব্যাহত করছে। বিটি সড়কটি দ্রুত সংস্কার না করলে সরকারের ব্যয়ভার ও জনগণের দুর্ভোগ আরো অনেক গুণ বেড়ে যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
প্রতিবেদক :আবদুল গনি