চাঁদপুরে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ভাইভা পরীক্ষা ১৬ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে। যা ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে চলবে। জেলার ৮ উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৩শ’ সহকারি শিক্ষককের শূন্য পদের বিপরীতে ২০ নম্বরের এ ভাইভা পরীক্ষা চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রতিদিন দু’বেলা করে অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ১শ’৩৫ জন। তৎকালীন প্রতিপদের বিপরীতে ৪ জন করে প্রার্থীকে নির্দিষ্ট সর্বোচ্চ নম্বরের ভিত্তিতে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করা হয়েছে । সবচেয়ে বেশি প্রার্থীর সংখ্যা মতলত উত্তর । যার সংখ্যা ৪৮৮ জন।
চাঁদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের বিশেষ সূত্রে বৃহস্পতিবার ৩ অক্টোবর জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, চাঁদপুরের এ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ভাইভা পরীক্ষা ১৬ অক্টোবর শাহরাস্তির ১১৮ জন, ১৭ অক্টোবর কচুয়া ও হাজীগঞ্জের ১২০ জন , ২২ অক্টোবর ফরিদগঞ্জের ১৫৮ জন, ২৩ ,২৪,২৭ ও ২৮ অক্টোবর এ ৪ দিন প্রতিদিন ১২২ জন করে মতলব উত্তর ৪৮৮ জন, ২৯ অক্টোবর চাঁদপুর সদর ও হাইমচরের ১১৩ জন এবং মতলব দক্ষিণে ১৩৮ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চাঁদপুর টাইমসকে বলেন,‘বর্তমানে যাচাই-বাচাই প্রক্রিয়া দ্রুত গতি চলছে যা আজ বৃহস্পতিবার সম্পন্ন হবে। এ ক্ষেত্রে প্রার্থীর পরিসংখ্যান চিত্র কিছুটা পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রোববার ৬ অক্টোবর থেকে স্ব-স্ব প্রার্থীর ঠিকানায় সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ভাইভার ‘প্রবেশপত্র ’ ডাকযোগে প্রেরণ করা হবে। ভাইভার প্রবেশপত্র অনলাইনে পাওয়া যাবে।’ এ ছাড়া আর কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে তিনি অপরাগতা প্রকাশ করেন।
প্রাপ্ত তথ্যে আরো জানা যায়, চাঁদপুর সদরের ২৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দু’দফায় চাঁদপুর জেলার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪৬ হাজার ৯১ জন। পরীক্ষার্থীয় অংশগ্রহণ করে ৩৩ হাজার ৭২ জন। অনুপস্থিত ছিল ১৩ হাজার ১ শ’১৩ জন।
প্রথম দফায় ২৪ মে ২০১৯ সকল ১০ টায় অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২২ হাজার ৪ শ ৬৫ জন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৫ হাজার ৬শ ১৫ জন। ফলে অনুপস্থিত ছিল ৬ হাজার ৮শ ৪৯ জন। চাঁদপুর সদরের ২৭টি সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার কেন্দ্রে ৩ শ ৭৪ টি কক্ষে ৮০ নম্বরের ৮০ টি এমসিকিউ পদ্ধতির প্রশ্নে পরীক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
দ্বিতীয় দফায় এ নিয়োগ পরীক্ষার ৩১ মে ২০১৯ সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠিত হয়। ২৮ কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ৬শ ৬৪ জন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৭ হাজার ৩শ ৫৭ জন। ফলে অনুপস্থিত ছিল ৬ হাজার ২শ ৪৯ জন।
এদিকে চাঁদপুরের ৮ উপজেলায় জুন ২০১৯ পর্যন্ত ৫৪ জন প্রধানশিক্ষক ও ২শ ৩৭ জন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য ছিল ।
প্রসঙ্গত , সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০১৮’ দেশের ৬৩ জেলায় আয়োজিত লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয় ১৫ সেপ্টেম্বর । সারাদেশে লিখিত পরীক্ষায় ৫৫ হাজার ২ শ’ ৯৫ জন প্রার্থী পাস করেছেন। চাঁদপুরে ১ হাজার ১ শ’ ৩৫ জন।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার প্রথম ধাপ ২৪ মে, দ্বিতীয় ধাপ ৩১ মে, তৃতীয় ধাপ ২১ জুন এবং চতুর্থ ধাপের পরীক্ষা ২৮ জুন অনুষ্ঠিত হয়।
২০১৮ সালের ৩০ জুলাই ‘সহকারী শিক্ষক’ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ১ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন কার্যক্রম শেষ হয়। ১২ হাজার আসনের বিপরীতে সারাদেশ থেকে ২৪ লাখ ৫ জন প্রার্থী আবেদন করেন। সে হিসাবে প্রতি আসনে ২শ’ প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
আবদুল গনি,অক্টোবর ৩, ২০১৯
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur