চাঁদপুর

রমজান মাসে চাঁদপুরে হানারচর সপ্রাবিতে অর্থের বিনিময়ে কোচিং

চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আয়শা আক্তারের নির্দেশেই অর্থের বিনিময়ে চলছে কোচিং বাণিজ্য। রমজানের তিন দিন আগে থেকে শুরু করে ওই বিদ্যালয়ে এই কোচিং বাণিজ্য চলে আসছে।

এর বিনিময়ে ওই বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাস শেষে ৩শ’ টাকা করে বেতন নিবেন বলে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন।

হানারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় পবিত্র রমজান মাসে যদিও সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। কিন্তু ওই বিদ্যালয়ে সকাল ১০ টা থেকে শুরু করে বেলা ১২ টা পর্যন্ত ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কোচিং ক্লাস চলছে। আর এই কোচিং ক্লাস চালাতে বাধ্য করছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আয়শা আক্তার নিজেই।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কিংবা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ সংলিস্ট কাউকে কিছু না জানিয়েই প্রধান শিক্ষক তার খাম খেয়ালী মতো টাকা কামানোর লোভে সরকারি নিষেধ থাকা সত্ত্বেও হানার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই কোচিং বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন।

খবর নিয়ে জানাযায় প্রতিদিন কোচিংয়ে মোট ৬৩ টি জন শিক্ষার্থী মাস শেষে জন প্রতি ৩, শ টাকা করে বেতন দেয়ার শর্তে কোচিং পড়ছেন। আর এতে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সহকারী শিক্ষকদের ক্লাস ভাগ করে দেয়া হয়েছে। একদিন একেক জন শিক্ষক কোচিং পড়াবে বলে প্রধান শিক্ষক আয়শা আক্তার নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছেন। যেসকল সহকারী শিক্ষকরা প্রতিদিন কোচিং ক্লাস নিচ্ছেন তারা হলেন, ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক, ফারজানা ইয়াসমিন, পদ্মা দাস, নুরুন্নাহার, মারজিয়া বেগম। তারা এই কোচিং পড়ানোর বিনিময়ে পাবেন শুধুমাত্র যাতায়াত খরচ, আর বেতনের বাকি সব টাকা পাবেন প্রধান শিক্ষক।

এ ব্যাপারে হানারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আয়শা আক্তারের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি অনেকটা উত্তেজিত হয়ে বলেন, আমরা যখন রমজানের আগে বিনা পয়সায় কোচিং পড়াই তখন আপনারা আসেন না কেনো। তখন কেনো নিউজ করেন না।

তিনি আরো বলেন, ছেলে মেয়েদের পড়া লেখার মান ভালো করার লক্ষে আমরা কোচিং পড়াচ্ছি।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জিতু গাজীর সাথে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, যেখানে অর্থের বিনিময়ে কোচিং পড়ানোর নিয়ম নেই, সেখানে প্রধান শিক্ষক যদি কোচিং পড়িয়ে থাকে সে ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাজমা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, তারা যদি অর্থের বিনিময়ে কোচিং করিয়ে থাকে তাহলে আমি তদন্ত করে বিষয়টি দেখবো।

প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি
২৯ মে ২০১৯

Share