বিশেষ সংবাদ

‘বঙ্গবন্ধু সেদিন কিল মারছিলো’

ভাটি অঞ্চলের মানুষ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ হাওরের মাছ দিয়ে বঙ্গভবনে আপ্যায়ন করলেন গণমাধ্যমকর্মীদের। সোমবার (৫ নভেম্বর) বঙ্গভবনে সাংবাদিকদের জন্য আয়োজিত এই নৈশভোজে স্বভাবসুলভ হাস্যরসে পুরনো দিনের কথার ঝাঁপি খুলে বসেন তিনি। এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কিল খাওয়ার কথাও উঠে আসে তার স্মৃতিচারণে।

বঙ্গভবনের দরবার হলে নৈশভোজের আগে বক্তব্য দেন রাষ্ট্রপতি। সাধারণও অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পড়লেও এই আয়োজনে নিজের মত করেই বক্তব্য দিয়েছেন আবদুল হামিদ।

১৯৭০ সালের গণপরিষদ নির্বাচনে সদ্য হওয়ার থেকে স্পিকার, সংসদ উপনেতার দায়িত্ব পালনের পর রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে আবদুল হামিদ বলেন, যখন প্রথম নির্বাচনে (১৯৭০ সালে) লড়েন, তখন তিনিই ছিলেন বিজয়ীদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ।

স্বাধীনতার পর প্রথম সংসদে রিকশা নিয়ে ঢোকার কথাও বলেন আবদুল হামিদ।

“এমপিরা গাড়ি নিয়ে সংসদে যায়। আমি প্রথমবার রিকশা নিয়ে গেছিলাম। আটকাইয়া দিছিলো। আমি বলেছিলাম, এমপি সাহেব যদি গাড়ির ড্রাইভার নিয়ে যেতে পারে তবে আমার রিকশার ড্রাইভার নিয়ে কেন যেতে পারব না।”

রিকশা নিয়ে যেতে না দেওয়ায় সেই সময় সংসদের বিশেষ অধিকার কমিটিতে অধিকার ক্ষুন্নের নোটিস দিয়েছিলেন আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, সেই নোটিস তুলে নিতে তৎকালীন প্রধান হুইপ শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন (বর্তমানে বিএনপি নেতা) অনুরোধ করলেও তা প্রত্যাহার করেননি তিনি।

পরে হুইপ রাফিয়া আক্তার তাকে জানান, বঙ্গবন্ধু তাকে সত্যি ডেকেছেন।

আবদুল হামিদ বলেন, “প্রথমে বিশ্বাস করি নাই যে বঙ্গবন্ধু ডাকছে। পরে গেলাম। গিয়ে জিজ্ঞাস করল, নোটিস দিছি কি না? কইলাম দিছি। উডাইতে বললেও কইছি তুলুম না। পরে পিডের মধ্যে দিছে একটা কিল। দিয়া কইছে, তুই তোল আমি দেখতাছি।”

আবদুল হামিদ জানান, পরে তিনি ৫ হাজার টাকা নিলামে সেনাবাহিনীর পরিত্যক্ত একটি গাড়ি কেনেন। (বিডিনিউজ)

বার্তা কক্ষ
৬ নভেম্বর, ২০১৮

Share