চাঁদপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা দ্বিতীয় ধাপের নিয়োগ পরীক্ষার শুক্রবার(৩১ মে) সকাল সাড়ে ১০ টায় অনুষ্ঠিত হবে। এতে চাঁদপুরের ২৮ কেন্দ্রে ৩৯৪টি কক্ষে ২৩,৬২৯ পরীক্ষার্থী প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেবে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) বিষয়টি চাঁদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বিষয়টি চাঁদপুর টাইমসকে জানিয়েছেন।
তথ্য মতে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে‘সহকারী শিক্ষক’ নিয়োগের দ্বিতীয় ধাপে আগামি শুক্রবার (৩১ মে) অনুষ্ঠিত হবে। এতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৩,৬২৯ জন। চাঁদপুর সদরের ২৮ টি সরকারি-বেসরকারি স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসার ৩শ ৯৪ টি কক্ষে এ পরীক্ষার হবে। জেলা প্রশাসন পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্যে কেন্দ্র এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করবে বলে জানা গেছে।
পরীক্ষা সাড়ে ১০ টায় শুরু হলেও হলে প্রবেশ করতে হবে অন্তত:অর্ধ-ঘন্টা আগে ।
প্রবেশপত্রের জন্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানায়,স্ব -স্ব বৈধ প্রার্থীর বেলায় মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে কোড নম্বরে প্রার্থী নিজ দায়িত্বে প্রবেশপত্র ডাউন লোড করতে পারবে।
জেলার সকল উপজেলার প্রার্থীদের লিখিত এ পরীক্ষা চাঁদপুর সদরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকেই কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হবে । তবে কোন উপজেলার প্রার্থী কোন কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেবে তা তার প্রবেশ পত্রেই উল্লেখ থাকবে।
কলেজের কেন্দ্রগুলো হলো : চাঁদপুর সরকারি কলেজ,মহিলা কলেজ,পুরাণ বাজার ডিগ্রী কলেজ,বাবুর হাট কলেজ ও খেরুদিয়া দেলোয়ার হোসেন হাই স্কুল এন্ড কলেজে ।
স্কুল কেন্দ্র গুলো হলো : হাসান আলী,মাতৃপীঠ বালিকা ,চাঁদপুর টেকনিক্যাল,গণি আদর্শ,আক্কাছ আলী রেলওয়ে,লেডি প্রতিমা, লেডি দেহলভি, ডি.এন,জিলানী চিশতি হাই স্কুল, আল আমিন ছাত্র শাখা,আল-আমিন ছাত্রী শাখা,ষোলঘর আদর্শ ,বাগাদী গণি,পীর মহসীন উদ্দীন,এম নূরুল হক, হামায়া হানাফিয়া ,পুরাণবাজার বালিকা,মধুসুদন ও জিএম ফজলুল হক হাই স্কুল ।
মাদ্রাসা কেন্দ্রগুলো হলো : আহমিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা,বিষ্ণুদি ইসলামিয়া ও বাগাদী আহমাদিয়া ফাজিল মাদ্রাস।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.সাহাবুদ্দিন মঙ্গলবার (৩১ মে) চাঁদপুর টাইমসকে জানান,পরীক্ষা গ্রহণের সকল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এদিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের দেয়া তথ্যে জানা গেছে,চাঁদপুরের প্রথম ধাপের পরীক্ষা শুরু হবে সকাল সাড়ে ১০ টায় এবং শেষ হবে ১১ টা ৩০ মি।স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগণ হবেন ‘কেন্দ্র প্রধান’।
২০ জন প্রার্থীর জন্যে একজন করে পর্যবেক্ষক থাকবেন। সংশ্লিষ্ঠ কেন্দ্র প্রধানগণ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োগ করবেন। প্রয়োজনে পার্শ্ববর্তী প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণকে পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব পালনে নিয়োগ করতে পারবেন।’
প্রসঙ্গত,সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় হলে কান ঢেকে ও মোবাইল নিয়ে প্রার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ডিপিই থেকে দেশের সব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে এ নির্দেশনা পাঠানো হচ্ছে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
আগামি ৩১ মে দ্বিতীয় ধাপের এ পরীক্ষা হবে। এ ধাপে দেশের ২৫ জেলায় অনুরূপ ১৪ লাখ প্রার্থী অংশগ্রহণ করবেন।
৩১ মে দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষাও প্রশ্নফাঁসমুক্ত ও সুষ্ঠুভাবে গ্রহণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। পরীক্ষাটি একাধিক প্রশ্নপত্রে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কানে কাপড় জড়িয়ে পরীক্ষা নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। এ ছাড়া কারিগরি ও প্রযুক্তিগত আরও বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজনে আরও কঠোর ও কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে।
প্রতিবেদক : আবদুল গনি
২৭ মে ২০১৯