চাঁদপুর

চাঁদপুর পদ্মা হাসপাতালে ‘ভুল চিকিৎসায়’ নবজাতকের মৃত্যু

চাঁদপুর শহরের আব্দুল করিম পাটওয়ারী সড়কে বিপনীবাগ পৌরসভা মার্কেটে পদ্মা জেনারেল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাতে এই ঘটনা ঘটে। নবজাতকের বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার লাড়ুয়া গ্রামে। নিহত নবজাতকের মা সুমি আক্তার (২২) ও পিতার নাম শাহীন বেপারী। শাহিন ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করেন।

নবজাতকের নানা সোলেমান জানান, ‘গত সাত বছর পূর্বে সুমির বিয়ে হয়। শুক্রবার সকালে প্রসব ব্যথা উঠলে প্রথমে স্থানীয় দায়ি ফয়জুন্নাহারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ওই দায়ির পরামর্শে চাঁদপুর শহরের পদ্মা হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমির মিনি সিজার করে ডেলিভারি করেন। বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর বাচ্চার শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে কর্তব্যরত ডাক্তার অক্সিজেন না লাগিয়ে বাচ্চাকে স্যালাইন দিয়ে রাখে এবং স্যালাইনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ইনজেকশন পুশ করে।’

এদিকে শ্বাসকষ্ট যখন প্রবল আকার ধারণ করে তখন প্রায় ৩ ঘণ্টা পর বাচ্চাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়। ততক্ষণে নবজাতক শিশু শ্বাসকষ্ট অনেক বেড়ে যায়। পরে বিকাল ৫ টায় শিশুটি মৃত্যুবরণ করেন।

পরিবারের অভিযোগ সঠিক সময়ে বাচ্চাকে অক্সিজেন না দেওয়ায় সে মৃত্যুবরণ করেছে।

এ ব্যাপারে হাসপাতাল মালিক এম সফিউল্ল্যাহ জানান, হাইমচর থেকে অর্ধেক মাথা বের হওয়া অবস্থায় সুমি আক্তারকে পদ্মা হাসপাতালে নিয়ে আসে। অবস্থা বেগতিক দেখে মিনি সিজার করে বাচ্চাকে আমরা ভূমিষ্ঠ করানো হয়। ততক্ষণে দীর্ঘক্ষন বাচ্চার মাথা আটকে থাকায় তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।

এদিকে সুমির বাবা জানান, ‘দীর্ঘ ৬ বছর পর অনেক সাধনার ফসল এই বাচ্চা। নরমাল ডেলিভারি করানোর জন্য হাইমচর আলগীর দাইমা ফয়জুন নাহারেরর কাছে নেই। তখন তার পরামর্শ মতে পদ্মা হাসপাতালে নিয়ে আসি। বাচ্চাটির শ্বাসকষ্টের সময় তারা অক্সিজেন দেয়নি। কিন্তু নবজাতক মৃত্যুর পরে তাকে দেয়া ইনজেকশনের প্যাকেটগুলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সরিয়ে নেয়।’

সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ২৬ অক্টোবর ২০১৯

Share