Home / চাঁদপুর / পদ্মা সেতুর গলকাটা গুজবে চাঁদপুরে যুবককে বেধম প্রহার করে পুলিশে সোপর্দ
padma-bridge-rumor-chandpur

পদ্মা সেতুর গলকাটা গুজবে চাঁদপুরে যুবককে বেধম প্রহার করে পুলিশে সোপর্দ

পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজে মানুষের মাথা লাগবে-সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এমন গুজবে গলা কাটা, বস্তাওয়ালা কিংবা ছেলেধরা ভেবে মনু মিয়া (৪০) কে মানসিক ভারসাম্যহীন ভেবে বেধম প্রহার করেছে স্থানীয় জনতা।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) চাঁদপুর সদরের ইসলামপুর গাছতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার ব্যক্তি লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর থানার বাসাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তার পিতা দুলু মিয়া। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মনু মিয়া মানসিক ভারসাম্যহীন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কাউসার জানায়, চাঁদপুর সদরের বালিয়া ইউনিয়নের ইচলী কলোনি এলাকায় একজন ব্যক্তি ভিক্ষা করার জন্যে প্রবেশ করে। পরে স্থানীয় কয়েকজন তাকে ছেলেধরা ভেবে মারধর করতে করতে চাঁদপুর-রায়পুর সড়ক সংলগ্ন কাদির গাজী মার্কেটের কাছে নিয়ে আসে। পরে পুলিশ এসে তাকের উদ্ধার করে নিয়ে যায়

তিনি আরো জানান, লোকজন যেভাবে তাকে মারধর করার শুরু করেছিলো, আরেকটু দেরী হলো লোকটি মারা যাওয়ার আশংকা ছিলো।

এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানার কর্তব্যরত অফিসার জানান, সকালে গাছতলা এলাকায় ৯৯৯ তে ফোন করে ছেলে ধরা আটক করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানায। পরে চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দিলিপ কুমার উত্তেজিত জনতার কাছ থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। তার বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ঘটনায় হিউম্যান রাইটস এক্টিভিটিস চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মোঃ মজিবুর রহমান রনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া মাথা কাটা গুজবে মানসিক ভারসম্যহীন ও ভবঘুরে অসহায় লোকগুলো নাজেহাল হচ্ছে। যারা এসব ছড়াচ্ছে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা ও অসহায় লোকগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে তৎপর হতে হবে।

এদিকে চাঁদপুর জেলার একাধিক স্থানে এ ধরনের ঘটনায় চাঁদপুর পুলিশ মিডিয়া সেলে একটি বিবৃতি দিয়েছেন পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, কতিপয় স্বার্থন্বেষী মহল পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা ও রক্ত লাগবে মর্মে বিভ্রান্তি ও গুজব ছড়াচ্ছেন। এ ধারাবাাহিকতায় চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী কিংবা ভবঘুরে নারী পুরুষদের আটক করে গণপিটুনি দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি ঘটনা চাঁদপুর পুলিশ বিভাগের নজরে এসেছে। যারা এর পিছনে আছে তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে বেশ কয়েকজন গ্রেফতারও হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে। গুজব ছড়ানোর পেছনে যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

চাঁদপুর টাইমস রিপোর্ট
১১ জুলাই ২০১৯