চাঁদপুর

মেঘনায় পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় আটক ৬ : হাইমচর থানার ওসি বরখাস্ত

চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে পুলিশ কনস্টেবল মোশাররফ হোসেন নিখোঁজ ও নিহতের ঘটনায় থানার ওসি শেখ মহসীন আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় উপপরিদর্শক মুকুল, সহকারী উপপরিদর্শক সুমন সরকার এবং কনস্টেবল শাহাদাত হোসেনকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক নেওয়ার কথা জানিয়েছেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির।

আজ শুক্রবার সকালে তিনি আরো জানান, তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ওসি শেখ মহসীন আলমকে পুলিশ সদর দপ্তরের এবং অন্য তিনজনকে তার নির্দেশনায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গত ২৬ এপ্রিল রাতে হাইমচর থানা পুলিশের একটি দল মেঘনা পাড়ি দিয়ে পরোয়ানাভুক্ত এক আসামি গ্রেপ্তারের অভিযানে যায়। এ সময় নদীতে মাছ ধরা জেলেদের সঙ্গে ওই পুলিশ সদস্যদের সংর্ঘষ হয়। এতে তাদের সঙ্গে থাকা কনস্টেবল মোশাররফ হোসেন নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন। এ ঘটনার দুই দিন পর পাশের জেলা বরিশালের হিজলা থানার মেঘনা নদীতে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

মেঘনা নদীতে নিখোঁজ পুলিশ সদস্যের লাশের সন্ধান।

ঘটনার পরদিন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এর তিন সপ্তাহ পর হাইমচর থানার ওসিসহ ৪ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলো।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২৬ এপ্রিল রাতে ঘটনার সময় থানায় ডিউটি অফিসার ছিলেন উপপরিদর্শক মুকুল, সহকারী উপরিদর্শক সুমন সরকার এবং কনস্টেবল শাহাদাত হোসেন ও মোশাররফ হোসেন। ঘটনার পরদিন এ ব্যাপারে কনস্টেবল মোশারফফ হোসেনর সহধর্মিনী শামীমা আক্তার বাদী হয়ে ১৬ জেলের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এতে সন্দেহভাজন ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

Share