বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস পালনে আগামি ১৫ আগস্ট দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আলোচনা সভা, শোক দিবসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ কবিতা পাঠ, রচনা ও চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা, চিত্র প্রদর্শনী, হামদ-নাত প্রতিযোগিতা ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করতে নির্দেশ রয়েছে।
এদিন শ্রেণির কাজ না হলেও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এসব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। শোক দিবসের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের অধিদপ্তরগুলো থেকে নির্দেশনা দেয়া হবে। এছাড়া এদিন সব শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নিজ কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে শোক দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার নির্দেশনা জারি করবে অধিদপ্তরগুলো।
১০ জুলাই অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী এবং ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের জাতীয় শোক দিবস পালনে কর্মসূচি গ্রহণে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো.সোহরাব হোসাইন এ তথ্য জানান ।
প্রতিষ্ঠানগুলোতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী এবং ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের জাতীয় শোক দিবসের কার্যক্রম-কর্মসূচি গ্রহণ করেছে কিনা তা মনিটরিং করা হবে বলেও জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র।
সূত্র জানায়, এ ছাড়া জাতীয় শোক দিবস পালনে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজানামচা বই দুটিসহ বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রকাশিত শিশুদের জন্য বঙ্গবন্ধুর জীবনীর ওপর লেখা ২৬টি বই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্রয় ও শিক্ষার্থীদের পাঠের নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সভায়।
এছাড়া রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান ও কৃতী শিক্ষার্থীদের উপহার হিসেবে এ বইগুলো উপহার হিসেবে প্রদানের ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া তথ্য মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা জাতীয় শোক দিবসের পোস্টার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাঁটাতে হবে।
সব পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস পালনে আগামি ১৫ আগস্ট নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জাতীয় কর্মসূচির সাথে সঙ্গতি রেখে কর্মসূচি প্রণয়ন করবে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এ নির্দেশনা দিবে।
বার্তা কক্ষ
৬ আগস্ট ২০১৯
এজি