মা ইলিশ রক্ষায় প্রচার-প্রচারনার পাশাপশি কঠোর অবস্থানে রয়েছে মত্স্য বিভাগ ও প্রশাসন। মত্স্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো.ওয়াহিদুজ্জামান ইত্তেফাককে জানান শনিবার রাত ১২টা থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত মা ইলিশসহ সব ধরনের ইলিশ ধরা, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
সরকারের এ আদেশ অমান্য করে ইলিশ মাছ আহরণ ও বিক্রি করলে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দু’বছরের সশ্রম কারাদ্ল বা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দ্লের বিধান রয়েছে।
৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ রক্ষায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানান রেঞ্জ ডিআইজি শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন,`জেলা ও উপজেলা মত্স্য দফতর, নৌ-বাহিনী, বিমান বাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ, থানা পুলিশ, এপিবিএনসহ অসংখ্য টিম সার্বক্ষণিক নজরদারি করবে। কোথাও কেউ আইন ভঙ্গ করলেই সাথে সাথে তাকে আইনের আওতায় এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ অভিযান রাতেও পরিচালনা করা হবে। অবৈধ পথে ইলিশ পাচার রোধেও নৌ- পুলিশের টহল জোরদার থাকবে।’
বিভাগীয় মত্স্য দপ্তর জনসচেতনতা তৈরি করতে লিফলেট বিতরণ, পোস্টারিং, মাইকিংসহ নানাভাবে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। নৌ-সদর থানা পুলিশের ওসি বেল্লাল হোসেন জানান, নৌ—পুলিশের একাধিক টিম কেন্দ্রীয় অফিসের নির্দেশনা অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
এছাড়া সার্বক্ষণিক নদীতে নৌ-পুলিশের টহল টিম ডিউটি দেবে। নিষেধাজ্ঞার পূর্বের দিন দক্ষিণাঞ্চলের পাইকারি মোকাম ও ছোট-বড় হাটবাজার ইলিশ মাছের দখলে ছিল।
নিষেধাজ্ঞা শুরুর শেষ ক’দিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতায় মুখরিত ছিল ইলিশ মোকামগুলো। ক্রেতারা জানান,শেষ দিনে ইলিশের দাম কমে যাওয়ায় বেশি করে ইলিশ কিনে তা ফ্রিজে সংরক্ষণ করে নিষেধাজ্ঞার দিনগুলোতে ইলিশের স্বাদ নিতে পারবেন।
বার্তা কক্ষ
৭ অক্টোবর,২০১৮ রোববার
এজি