নতুন দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চিহ্নিত করে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করল ভারত। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার জম্মু ও কাশ্মীরে সদ্য গঠিত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং লাদাখের সীমানা সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সেই বিজ্ঞপ্তিটিতে ভারতের একটি নতুন রাজনৈতিক মানচিত্রও রয়েছে। যার মধ্যে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের মীরপুর ও মুজফ্ফরাবাদের মতো অঞ্চলও রয়েছে।
ভারতের নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি আনুষ্ঠানিকভাবে তৈরি হওয়া এবং তাদের প্রথম লেফটেন্যান্ট গভর্নরের শপথ গ্রহণের দুদিন পরে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হল।
বৃহস্পতিবার ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের হিসেবনিকেশ বদলে নয়া অস্তিত্ব নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে। দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ১৪৪ তম জন্মবার্ষিকীতে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রূপান্তরিত হয়। জম্মু ও কাশ্মীর দ্বিখণ্ডিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভারতে রাজ্যের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৮ এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে নয়।
মোদি সরকার দ্বিতীয়বার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার প্রথম ১০০ দিনের মধ্যেই বিজেপির দীর্ঘকালীন প্রতিশ্রুতি পূরণ করে ৫ আগস্ট বিশেষ মর্যাদার সমাপ্তি ঘটিয়ে এই ভাগাভাগির পথ সুগম করে। সরকার যুক্তি দিয়েছিল যে ৩৭০ এবং ৩৫-এ ধারা উভয়ই ‘সাংবিধানিকভাবে দুর্বল’ এবং বৈষম্যমূলক ছিল যা রাষ্ট্রের বিকাশকে বাধা দিয়েছে।
শনিবার প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, জম্মু ও কাশ্মীরের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কারগিল ও লেহ ব্যতীত পূর্বের রাজ্যের সমস্ত জেলা নিয়েই থাকবে। কারগিল ও লেহ থাকবে লাদাখের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অধীনে।
বৃহস্পতিবারই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় ব্যয় সচিব গিরিশচন্দ্র মুর্মু জম্মু ও কাশ্মীরের প্রথম লেফটেন্যান্ট-গভর্নর হিসেবে শপথ নেন। আর প্রাক্তন প্রতিরক্ষা সচিব রাধাকৃষ্ণ মাথুর লাদাখের প্রথম লেফটেন্যান্ট গভর্নর হিসেবে শপথ নেন। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
বার্তা কক্ষ, ৩ নভেম্বর ২০১৯
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur