চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে নারগিস ফুড প্যাভেলিয়নে বসার মূল্য অর্থাৎ হলচার্জ আদায়ের ঘটনায় হোটেল মালিক ও মেরিকো বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির বিষয়টি উঠে আসে।
গত রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মেরিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের সাত কর্মকর্তা ওই ফুড প্যাভেলিয়নে বসে খাবারের পাশাপাশি অফিস সংক্রান্ত আলাপ সারেন। পরে বিল পরিশোধের সময় খাবারের পাশাপাশি বসার মূল্য অর্থাৎ হলচার্জও দিতে হয়।
বৈঠক শেষে হোটেল মালিক আওলাদ হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘মেরিকো বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে আমাদের হোটেলে সেমিনার করে। ওইদিন বুকিং না নিলেও আমরা পূর্বের মতোই ধরেছি। উভয় পক্ষের মধ্যে সমন্বয়হীনতার অভাবে মিডিয়া পর্যন্ত গড়িয়েছে। আমরা সব সময় ভোক্তাবান্ধব ব্যবসা করছি এবং করতে চাই।’
প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশ প্রতিনিধি শিহাবুল ইসলাম চৌধুরী তানভীর বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। আমরা প্রতি মাসেই হোটেলে সেমিনার করি। ওইদিন সেমিনার ছিল না। তাই বুকিং না নিয়ে হোটেলের ভিআইপি কেবিনে প্রবেশ করি। হোটেল কর্তৃপক্ষ পূর্বের ন্যায় আমাদের হলচার্জ ধরেছে। উভয়পক্ষের মধ্যে দায়িত্ববোধ কাজ না করায় বিষয়টি মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়।’
প্রসঙ্গত, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজারের নারগিস ফুড প্যাভেলিয়নে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মেরিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের সাত কর্মকর্তা বসে আলাপ-চারিতা ও খাবার খেতে গিয়ে বিপাকে পড়েন।
খাবারের বিল দিতে এসে অবাক হন তারা । সাত জনের খাবারের বিল আসলো ১ হাজার ৭২০ টাকা। একই সঙ্গে রেস্টেুরেন্টে বসে দুই ঘণ্টা সময় কাটানোর জন্য চার্জ যুক্ত হলো আরও ১ হাজার ৫০০ টাকা। মোট ৩ হাজার ২২০ টাকা। দর কষাকষি করে ৫০০ টাকা কমিয়ে রশিদের মাধ্যমে ২ হাজার ৭২০ টাকা পরিশোধ করতে হলো তাদের।
প্রতিবেদক : মনিরুজ্জামান বাবলু, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯