চাঁদপুর

পর্যটকবাহী বিদেশি জাহাজ এমভি মহাবাহু এখন চাঁদপুরে

তৃতীয়বারের মত দেশে আসা ভারতীয় পর্যটকবাহী জাহাজ এমভি মহাবাহু চাঁদপুরে। জাহাজটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা করবে মঙ্গলবার সকাল ১০টায়।

এর আগে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে চাঁদপুরের ডাকাতিয়া নদীপাড়ের পুরানো লঞ্চঘাটে জাহাজটি নোঙর করে। ওই সময় বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ পুলিশের কর্মকর্তারা জাহাজে থাকা পর্যটকদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

এরআগে দুপুরে ৮ জন পর্যটক ও ২৪ জন নাবিক নিয়ে জাহাজটি বরিশাল নদীবন্দর ত্যাগ করে। চাঁদপুর আসার পথে মেঘনা নদীতে মাছ ধরা ও নদীর দু’পাড়ের দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হন পর্যটকরা।

বাংলাদেশের সৌন্দর্যে মুগ্ধ জাহাজে থাকা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা। পর্যটকদের জন্য স্থানীয়ভাবে সুযোগ-সুবিধা আরো বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন জাহাজ ও ট্যুর অপারেটর কর্তৃপক্ষ। এদিকে, বিআইডব্লিউটএ জানিয়েছে, পর্যটকবাহী জাহাজের জন্য নতুন টার্মিনাল স্থাপনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর দিল্লিতে ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। সেখানে দুই দেশের উপকুল ও অভ্যন্তরীন নৌপথে যাত্রী ও পর্যটকবাহী নৌযান চলাচলের কথা উল্লেখে করা হয়।

চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ বিদেশি পর্যটকদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।

সে অনুযায়ী এ বছর (১ সেপ্টেম্বর) কলকাতা থেকে যাত্রা শুরু করে ভারতীয় পর্যটকবাহী জাহাজ এমভি মহাবাহু। খুলনার আংটিহারা দিয়ে প্রবেশ করে কুড়িগ্রামের চিলমারী হয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর ভারতের আসামের গৌহাটি পৌঁছাবে জাহাজটি। পথে সুন্দরবন, বরিশাল, চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে নোঙ্গর করবে জাহাজটি।

বাংলার সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ বলে জানান বিদেশি পর্যটকরা। জার্নি ওয়ালেট লিমিটেডের সিও জিহাদ মেসবাউল বারী ও এমভি মহাবাহু ও অ্যাডভেঞ্জার ট্যুর অ্যান্ড টুরিজমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিনা মোরাদা জানান, পর্যটকদের জন্য আরও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো দরকার। এদিকে, পর্যটকবাহী জাহাজের জন্য নতুন টার্মিনাল স্থাপনের পরিকল্পনা আছে বলে জানান বরিশাল বিআইডব্লিউটি‘র বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু।

এদফায় জাহাজে পর্যটক রয়েছেন ৮জন। তারমধ্যে ২ জন মার্কিন, ২ জন কানাডা, ২ জন ব্রিটিশ ও ২ জন ভারতীয়। জাহাজটিতে ৫ তারকা হোটেলের সব সুবিধা রয়েছে। জনপ্রতি দৈনিক খরচ হচ্ছে ৩৭ হাজার ভারতীয় রুপি। এপর্যন্ত মোট ৩টি জাহাজ ভারত থেকে এসেছে। বাংলাদেশ থেকে গেছে ১টি। ভারতীয় এ ধরনের পর্যটকবাহী জাহাজের যাতায়াত বাড়লে দেশের পর্যটন শিল্প আরও সমৃদ্ধ হবে। দুদেশের সম্পর্ক হবে আরও উন্নত।

আর এজন্য দেশের উপকুলীয় এলাকার দর্শনীয় স্থানগুলোর ব্যাপক প্রচারণার দরকার বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

Share