চাঁদপুরে বিচি কলার কাঁদিতে দু’মোচা নিয়ে সোস্যাল মিডিয়াতে ব্যাপক আলোচনা চলছে। স্রষ্টার সৃষ্টি বিচিত্র ধরনের বিচি কলার কাঁদি দেখা মিললো চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহতলী বাজারের পাশে।
একটি কাঁদিতে দুটি মোচা (স্থানীয় ভাষায় থোড়) দেখে বয়স্ক লোকজনও বলছেনে তারা ওই এলাকায় এমনটি আর কখনো দেখেননি। শাহতলী বাজারের মতিন মার্কেটের সামনে থাকা বিচিত্র এ দৃশ্য নিয়ে বেশ কয়েকদিন যাবত স্থানীয়দের মাঝে কৌতুহল ছিলো।
বুধবার (১৬ জানুয়ারি) এটি কাটার মাধ্যমে সে কৌতুহলের কিছুটা সমাপ্তি হলেও ফেসবুকের বদৌলতে ভার্চুয়াল জগতে কিছুটা রয়ে গেলো। বিষয়টি চাঁদপুর সদরের শাহতলী এলাকা থেকে ক্যামেরাবন্দি করেছেন চাঁদপুর টাইমসের করেসপন্ডেন্ট এমএ শাকুর।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বিচি কলার জনপ্রিয় নাম অ্যাঁইট্টা কলা এটি স্থানীয় কৃষকদের মাধ্যমেই উদ্ভাবন হয়েছিলো। একটি বিচিকলা গাছ প্রায় একবছর বাঁচে।
ফলনের গুণগত বৈশিষ্ট্য এটি প্রচুর বিচিযুক্ত। পাকা কলার শাঁস আঠালো ও খুব মিষ্টি। খোসা পুরু। এটি কোনো প্রকার মেডিসিন ছাড়াই বেশিদিন সংরক্ষণ করা যায় এবং ঔষধি গুণাগুন সমৃদ্ধ।
উৎপাদনের মৌসুম সারা বছর। দোআঁশ, বেলে-দোআঁশ মাটিতে এটি চাষাবাদ করা যায়।
চরম শীত ও বর্ষাকাল ছাড়া বছরের যে কোন সময় কলার চারা লাগানো যায়। তবে চারা লাগানোর সবচেয়ে ভাল সময় হল বর্ষা শেষে আশ্বিন-কার্তিক মাস। এ সময়ে লাগানো চারার ফলন সবচেয়ে বেশি হয়। এ ছাড়া মাঘ ও বৈশাখ মাসে চারা লাগানো যায়।
সাধারণত রোপণের ১১ থেকে ১২তম মাসে ফসল তোলা যায়। তবে জেলায় বিচি কলার বাণিজ্যিক চাষ তেমন না থাকলেও গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় এর উপস্থিতি পূর্বের তুলনায় অনেকাংশে কমে যাচ্ছে।
প্রতিবেদন- দেলোয়ার হোসাইন
১৬ জানুয়ারি, ২০১৯