চাঁদপুর

রমজানেও চাহিদা না বাড়ায় চাঁদপুরের ৮ মুড়ি কারখানা মালিকরা হতাশ

গরমের কারণে চাঁদপুরে মুড়ির চাহিদা বাড়েনি। রমজান এলে সন্তোষজনক মুড়ির যেই চাহিদা বাড়ে তা মিটিয়ে থাকেন চাঁদপুরের আট মুড়ির মিল। জেলার চারটি উপজেলায় আটটি মুড়ির মিল রয়েছে। মিলগুলোতে পবিত্র রমজান উপলক্ষে মুড়ির চাহিদা ও দাম বাড়েনি।

রমজানে খুচরা বিক্রেতার বলছে দুই টাকা দাম বেশি দিয়ে পাইকারদের কাছ থেকে মুড়ি ক্রয় করছে। কিন্তু রমজানের পূর্বের মতোই ক্রেতাদের কাছে দাম রাখা হচ্ছে।

মিলগুলো হচ্ছে চাঁদপুর সদর উপজেলার বরকত মুড়ির মিল, মতলব দক্ষিণ উপজেলার মিয়াজী মুড়ির মিল, মল্লিক মুড়ির মিল ও লতিফ মুড়ির মিল, হাজীগঞ্জ উপজেলায় খাজা মুড়ির মিল ও চাঁদ মুড়ির মিল, শাহরাস্তি উপজেলায় পাটওয়ারী মুড়ির মিল ও মক্কা মুড়ির মিল।

জানা গেছে, মিলগুলো রজনী ও সন্না মুড়ি বেশি উৎপাদন হয়। পাইকারী বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা ধরে। খুচরা বাজারে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে মুড়ি।
মতলবের মিয়াজী মুড়ির মিলের মালিক মোহাম্মদ আলম ও লতিফ মুড়ির মিলের ম্যানেজার বলেন, এবার মুড়ির চাহিদা কম। তাই দামও কম। গরমের কারণে মানুষ মুড়ির খাচ্ছে কম। গত রমজানে ৫০-৬০ টাকা ধরে মুড়ি বিক্রি করেছি। এবার মুড়ির প্রতিকেজিতে ৩৬/৩৮ টাকা ধরে বিক্রি করছি।

হাজীগঞ্জ উপজেলার খাজা মুড়ির মিলের ম্যানেজার মোহাম্মদ সবুজ ধাম বলেন, মুড়ির দাম কমেছে। ২৫/৩০ জন পাইকার আছে। চাহিদা সন্তোষ জনক। গত রমজানের চেয়ে এবার চাহিদা কিছুটা কম।

চাঁদ মুড়ির মিলের মালিক শফিউল আলম স্বপন ও মক্কা মুড়ির মিলের মালিক শাহআলম বলেন, প্রতি ৪৭ কেজির মুড়ির বস্তা ১৬’শ টাকা ধরে বিক্রি করছি। তবুও চাহিদা বাড়েনি। আমরা মান সম্মত মুড়ি উৎপাদনের চেষ্টা করছি।

প্রতিবেদক- মনিরুজ্জামান বাবলু
১১ মে ২০৩০

Share