দশ বছর পূর্বে বধূ হয়ে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় আসা। এখন দেহপোড়া লাশ নরসিংদী জেলার ছোট মাধবদী উপজেলার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে বাবার বাড়ীতে ফিরবে দিপিকা আচার্য্য মনিকা।
ময়নাতদন্ত শেষে আজ শনিবার(৪ মে) রাতে শাহবাগ থানা পুলিশ পরিবারের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করবে। তারপর মণিকার মৃতদেহের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে।
চারদিন মৃত্যুর সাথে লড়ে হারলেন এই গৃহবধূ। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। শরীরের প্রায় ৯২ শতাংশ জ্বলসে গেছে। মৃত্যুর কাছাকাছি থাকা এই গৃহবধূ চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুলিশ ও ভাই অরবিন্দ আশ্চার্য্যরে কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত শুক্রবার দুপুরে তার স্বামী, শ্বাশুড়ি ও ভাসুরকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক খলিলুর রহমান জানান, আটককৃতদেরকে জেলহাজত থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করা হবে। তবে নিহত মণিকার জবানবন্দি হাতে পেলে তদন্ত কাজ শুরু হবে। অভিযুক্ত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন রনি জানান, শাহাবাগ থানার পুলিশ মনিকার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার রাতের মধ্যেই তার বাবার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আগুনে জ্বলসানো গৃহবধূ হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড বকুলতলা রোডের রঞ্জিত আচার্যের ছেলে বিপুল আচার্য্য স্ত্রী দিপিকা আচার্য্য মনিকা। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতে হাজীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন গৃহবধূর ভাই অরবিন্দ আচার্য্য।
অভিযোগে বলা হয়, গত ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে স্বামী বিপুল আচার্য্য ও ভাসুর সজল আচার্য্য কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে মনিকাকে হত্যার চেষ্টা করে। নিছক এই ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে দুর্ঘটনা বলে প্রচার করা হয়। দুর্ঘটনার পর মনিকাকে প্রথমে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরবর্তীতে কুমিল্লা মেডিকেলে নেয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটি ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মণিকার মৃত্যু হয়।
স্পেশাল করেসপন্ডেট
৪ মে ২০১৯