‘সিনেমার শিল্পীদের নির্বাচন। এখানে আনন্দ হবে, উৎসব হবে। শিল্পীরা হাসতে হাসতে ভোট দিয়ে তাদের নেতা নির্বাচন করবেন। কিন্তু এই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে নানাভাবে। এখানে অদৃশ্য উপর মহলকে ব্যবহার করে প্রভাব খাটানো হচ্ছে, যা আমাকে অবাক করেছে, হতাশ করেছে।’
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি পদে নিজের মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসে এভাবেই আক্ষেপের কথা জানান প্রিয়দর্শিনী নায়িকা মৌসুমী।
আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিকেলে এফডিসিতে এসে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চনের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন এ চিত্রনায়িকা। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন চিত্রনায়ক ওমর সানী।
মৌসুমী বলেন, ‘শিল্পী সমিতি একটা পরিবার। এমনটাই জেনে এসেছি সবসময়। সেই আবেগ থেকেই বহুবার নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচিতও হয়েছি। কিন্তু এবার নির্বাচন করতে এসে অনেক কিছু দেখছি, যা একজন শিল্পী হিসেবে আমি প্রত্যাশা করিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক সদস্য মিলে একটি চমক জাগানিয়া প্যানেল তৈরি করেছিলাম আমরা। কিন্তু আড়ালে থেকে একটি মহল এখানে বাধার দেয়াল তৈরি করেছে। সবাইকে নির্বাচন না করতে প্রভাবিত করেছে। একটা সময় দেখলাম নির্বাচনে আমি একা। কেউ নেই আমার পাশে। মজার ব্যাপার হলো যারা আমাকে সভাপতি পদে নির্বাচন করতে পরামর্শ ও সাহস দিয়েছিলেন তারাও আমার সঙ্গে নির্বাচনে নেই।
আমি বুঝতে পারছি না শিল্পী সমিতির নির্বাচনে জিতে কী এমন হবে যে উপর মহলকে এভাবে কাজে লাগাতে হবে? আমার সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ডি এ তায়েবের নির্বাচন করার কথা। তাকেও নানাভাবে বাধা দেয়া হচ্ছে।
আমি একটি সুন্দর নেতৃত্ব চাই। এজন্য সরে যাইনি। একা একা হলেও নির্বাচনে থাকবো। আমাকে শিল্পীরা সমর্থন দিয়েছেন, এটাই আমার প্রেরণা। শিল্পীদের সমিতিতে বাইরের এ প্রভাব কাটাতে শিল্পীরা এক হয়ে আমাকে নির্বাচিত করবেন বলে বিশ্বাস করি।’
আগামী ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এবারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইলিয়াস কাঞ্চন।
আজ ছিল প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। এদিন ব্যান্ড পার্টি বাজিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন সভাপতি পদে মৌসুমী, মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক পদে ইলিয়াস কোবরা, জায়েদ খান ও ডি এ তায়েব। আরো জমা দিয়েছেন ডিপজল, ইমন, জয় চৌধুরী, জ্যাকি আলমগীর, অঞ্জনা, রোজিনাসহ একঝাঁক শিল্পী। (বার্তা কক্ষ)
বার্তা কক্ষ, ১০ অক্টোবর ২০১৯