চাঁদপুর

মাতৃমৃত্যুর প্রধান কারণ বাড়িতে সন্তান প্রসব : ডা.কাজী মোস্তফা

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ডা.কাজী মোস্তফা সারোয়ার বলেছেন, ‘পরিবার পরিকল্পনার সফলতা মানেই দেশের সফলতা। আমরা মাতৃমুত্যু ও শিশু মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। মাতৃমৃত্যুর প্রধান কারণ হলো বাড়িতে প্রসব করানো। এখনো প্রতি লাখে ১শ ৭৪ জনের মৃত্যু হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো.মাজেদুর রহমান খান এবং সদর উপজেলা মেডিকেল অফিসার ডা.আব্দুল গফুর মিয়ার সঞ্চালনায় ইউএসএআইডি’র মা ও নবজাতক স্বাস্থ্য উন্নয়ন নতুন প্রকল্প উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ‘একটি যুদ্ধ বিধ্বস্থ দেশকে প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য খাতে একটি উন্নতস্তরে নিয়ে গেছেন। ২০১৫ সাল পর্যন্ত আমাদের লোকবলের অনেক সংকট ছিলো। বর্তমান সরকার ৮ হাজার জনবলের মধ্যে ২ হাজার জনবল নিয়োগ দিয়েছেন । বাকি ৬ হাজার আগামি নভেম্বর মাসের মধ্যে নিয়োগ দিবেন। এ সব নিয়োগের ফলে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কার্যক্রম আরো বৃদ্ধি পাবে এবং সরকারের ভিশন বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের দেশ ছোট। তা সত্ত্বেও জনসাধারণ বেশি। আমাদের আয়তন কম, জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি। নতুন এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার একটি সহনীয় মাত্রায় রাখা। ২০৫০ সালের মধ্যে আমাদের জনসংখ্যা বাড়লেও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে সহনীয় মাত্রায় রাখার জন্য কাজ করবে। এ বিভাগ দেশের আপামর জনতাকে সরাসরি সেবা প্রদান করছেন। চাঁদপুরকে স্বাস্থ্য খাতে এগিয়ে নিতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।’

বিশেষ অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক মো.নুরুল আলম, বিভাগের পরিবার পরিকল্পনা পরিদপ্তরের পরিচালক মো.নাজমুস সাহাদাত সেলিম, চট্টগ্রাম বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক ডা.মো.আবুল কাশেম,ইউএসএআইডি’র এইচএসএস টীম লিডার ইফতেখার রশিদ, প্রকল্পের চীফ অব পার্টি জবী জর্জ, স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা.সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার ডা. তানভীর আহমেদ চৌধুরী ও ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা.হাসিবুল ইসলাম।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা.মো.সাইদুজ্জামান। চাঁদপুর জেলার তথ্য উপস্থাপন করেন জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মো. ইলিয়াছ। উল্লেখিত প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ১০ টি জেলা। জেলাগুলো হচ্ছে :হবিগঞ্জ,বি.বাড়িয়া,চাঁদপুর,লক্ষ্মীপুর,ফেণি,নোয়াখালী,ফরিদপুর,মাদারীপুর,মানিকগঞ্জ ও কুষ্টিয়া।

প্রতিবেদক : মাজহারুল ইসলাম অনিক
/strong>
১১ অক্টোবর ২০১৮,বৃহস্পতিবার

Share