ফিচার

দুরত্ব অনেক গুরুত্ব বেশি

এক.
পৃথিবী ঘুরে, নাকি সূর্য্য ঘুরে এমন প্রশ্নে সবাইকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গন্ডিতে ঘোরপাক খেতে হয়েছে। শিক্ষক যখন বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণে বুঝাতে সক্ষম হয়, তখন সবাই বুঝে পৃথিবী ঘুরে। সূর্য্য ঘুরে না। সূর্য্যরে চারপাশে পৃথিবী ঘুরে বাংলাদেশে উঁকি দিল ‘সূর্য্য’। তখন তামিম, মুশফিকদের ফোন। শুধু সময়ের ব্যবধানে রক্ষা পেল পুরো ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে বড় বেদনাবিদূর ঘটনা। রক্ষা পেল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। প্রাণে বেঁচে গেলেও জীবন্ত নিঃশ্বাস নিতে টাইগারদের সত্যিই কষ্ট হয়। কষ্ট হয় মানবজাতির।

শুক্রবার দিনটি বাংলাদেশ আর নিউজিল্যান্ডে শুধু সময় ও দুরত্ব ব্যবধান। গুরুত্ব সমান্তরাল। বলছিÑ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে আল নুর মসজিদ ও লিনউডের আরেকটি মসজিদের ঘটে যাওয়া ভয়ংকর নিন্দনীয় ঘটনার কথা। হামলাকারী ওই বন্দুকধারী আক্রোশে বলল, মুসলমান আজ তোদের সবাইকে খুন করব!

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহর শান্ত হিসেবে পরিচিত। শুধু ক্রাইস্টচার্চ শহর নয়, পুরো নিউজিল্যান্ড দেশটাই বিশ্বের দ্বিতীয় শান্তিময় দেশ। এমন দেশটিতে ঘটে গেলÑ ঠান্ডা মাথার ভয়ংকর খুন। দেশের প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে নিউজিল্যান্ডে শুক্রবার দিনটি একটি অন্ধকারময় দিন বলে অখ্যায়িত করে হামলাকারীদের প্রতি তীব্র নিন্দা জানান।

শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের সময় বেলা দেড়টার দিকে মসজিদে নামাজ শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যে একজন বন্দুকধারী সিজদায় থাকা মুসল্লিদের ওপর গুলি ছোড়ে। হামলাকারীর হাতে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল ছিল। হামলা চালিয়ে বন্দুকধারী জানালার কাচ ভেঙে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় প্রাপ্ত তথ্যমতে, ৪৯ জন নিহত, গুরুতর আহত হয়েছেন ২০ জন।

ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলার পুরো দৃশ্য বন্দুকধারী ভিডিও করে। পরে সেটার লাইভস্ট্রিমিং করে। ১৬ মিনিটের হামলার সেই ভয়াবহ হামলার দৃশ্যের ভিডিও কিছুক্ষণপর অনলাইনে পোস্ট করে সে। সেই ভিডিওতে নিজের পরিচয় জানাতেও দ্বিধা করেনি এই হামলাকারী। ২৮ বছর বয়সী এই হামলাকারী নিজেকে একজন অস্ট্রেলিয়ান বলে দাবি করে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে, ভিডিওটি ফেসবুক থেকে সরিয়ে নিয়েছে। ধন্যবাদ।

ক্রাইস্টচার্চে আল নুর মসজিদ থেকে কিছুটা দুরে ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলে ওভাল মাঠে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল অনুশীলনে ছিল। সেখান থেকে একজোট হয়ে দলের বেশকয়েকজন ক্রিকেটার টিম বাসে করে মসজিদে জুম্মার নামাজ পড়তে যান। তারা মসজিদের কাছে পৌঁছে বাস থেকে নামার সময় হঠাৎ করে সেই ভয়াবহ হামলার মধ্যে পড়ে যান। রক্তাক্ত শরীরে মসজিদ থেকে কয়েকজনকে দৌড়ে বেরিয়ে আসতে দেখেন ক্রিকেটাররা। সঙ্গে সঙ্গে ক্রিকেটাররা বাসের মধ্যে ঢুকে শুয়ে পড়েন। খানিকবাদে সেই ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখে ক্রিকেটাররা বাস থেকে নেমে দৌড়াতে শুরু করেন। আতঙ্কিত সেই পরিস্থিতির মধ্যে তারা ফের স্টেডিয়ামে ফিরে আসেন। ভয়াবহ হামলা থেকে নিরাপদে ফিরে আসা ক্রিকেটারদের চোখেমুখে তখন আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। এই হামলার প্রেক্ষিতে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের শেষ টেস্ট ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে। আজ শনিবার বাংলাদেশ দল দেশে ফিরছে। একটু এদিক-ওদিক হলে প্রাণ হারাতেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিকাংশ সদস্য। বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠেছে, শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা আসছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। এ তালিকায় যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন ফুটবল ক্লাব ও ফুটবল তারকা।

ভয়াবহ এই সন্ত্রাসী হামলায় তিনজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছে এবং তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমকে নিউজিল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশি হাই কমিশনার শফিকুর রহমান। এ ঘটনায় এক নারীসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ।
শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে উঠে এমন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ঘটনা শুনে মনটা ভেঙ্গে গেছে। শিউরে উঠেছি ভিডিও ফুটেজ দেখে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহমান গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘আজ (শুক্রবার) গোলাগুলির সময় আল্লাহ্ আমাদের বাঁচিয়েছেন। আমরা অনেক বেশি ভাগ্যবান। এমন কিছু পুনরায় দেখতে চাই না। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

দুই.
নিউজিল্যান্ড আর বাংলাদেশের দুরত্ব অনেক। কিন্তু শুক্রবার দুপুরে নিউজিল্যান্ডে ঘটে যাওয়া ঠান্ডা মাথার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ঘটনার ‘গুরুত্ব’ অনেক বেশি। বাংলাদেশ জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের কর্মকান্ড মোকাবেলা করেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জঙ্গি হামলার ঘটনা নিয়ন্ত্রণ সক্ষম হয়ে আসছে।

হরকাতুল জিহাদ বা হুজি-বি মাধ্যমেই প্রথম জঙ্গি হামলা বা নাশকতা চালানো হয় বাংলাদেশে। সংগঠনটি প্রথম নাশকতামূলক বোমা হামলা চালায় যশোরে উদীচীর অনুষ্ঠানে। ১৯৯৯ সালের ৬ মার্চ ওই হামলায় ১০ জন নিহত ও শতাধিক ব্যক্তি আহত হন।

উদীচীর হামলার সাত মাসের মাথায় ৮ অক্টোবর খুলনায় আহমদিয়া মসজিদে বোমা হামলায় আটজন নিহত হন। তারপর ২০০০ সালের ২০ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাস্থলের কাছে ও হেলিপ্যাডে বোমা পেতে রাখার ঘটনা ধরা পড়ে। সে সময়ই প্রথম হরকাতুল জিহাদ ও মুফতি হান্নানের নাম জানাজানি হয়। এরপর ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে রমনার বটমূলে, ৩ জুন গোপালগঞ্জের বানিয়ারচর গির্জায়, ১৬ জুন নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বোমা হামলা হয়।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জে সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়াকে হত্যা করা পর্যন্ত হুজি-বি ৬ বছরে দেশে ১৩টি বোমা ও গ্রেনেড হামলা চালায়। এতে মোট ১০৯ জন নিহত হন। আহত হন ৭০০ জনের বেশি মানুষ। অনেকে চিরতরে পঙ্গু হয়ে যান।

এর মধ্যে হুজি-বি’র জঙ্গিরা সবচেয়ে বড় ও ভয়াবহ হামলা চালায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় তখনকার বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার জনসভায়। ওই গ্রেনেড হামলায় ২২ জন নিহত হন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের কয়েকশ’ নেতা-কর্মী। ওই ঘটনার পর আর্জেস গ্রেনেড আলোচনায় আসে। একই ধরনের গ্রেনেড ব্যবহার করে ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে হজরত শাহজালালের (রহ.) মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর হামলা চালানো হয়। পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে যে এসব গ্রেনেডের চালান এসেছিল পাকিস্তান থেকে।

২০০৫ সালে একযোগে ৬৩ জেলায় বোমা ফাটিয়ে ও প্রচারপত্র ছড়িয়ে আনুষ্ঠানিক জানান দেওয়ার আগ পর্যন্ত জেএমবি খুব একটা পরিচিত ছিল না মানুষের কাছে। যদিও এর আগের বছর ২০০৪ সালের এপ্রিল-মে মাসে রাজশাহীর বাগমারা ও পাশের দুই জেলার দুই উপজেলা রানীনগর ও আত্রাইয়ে কথিত বাম চরমপন্থি দমনে বাংলা ভাইয়ের নেতৃত্বে অভিযানের পর থেকে দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে এই উগ্র গোষ্ঠীর তৎপরতার কথা আসছিল। তবে তখন তারা জেএমবি নামটি প্রচার করেনি। তখন তারা নাম বলেছিল জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশ বা জেএমজেবি।

জেএমবির প্রথম নাশকতার শুরু ২০০১ সালে। ওই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরার রক্সি সিনেমা হল ও সার্কাস মাঠে বোমা হামলা চালায় তারা। এতে ৩ জন নিহত ও প্রায় ১০০ জন আহত হন। এরপর ২০০২ সালের ১ মে নাটোরের গুরুদাসপুরে কিরণ সিনেমা হলে ও ৭ ডিসেম্বর ময়মনসিংহে চারটি সিনেমা হলে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্টের আগ পর্যন্ত ১৮টি ঘটনা ঘটায় তারা।
২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে এসে জেএমবি উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ব্র্যাক ও গ্রামীণ ব্যাংকে ডাকাতি শুরু করে। তৎকালীন সরকার ২০০৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জেএমবি ও জেএমজেবিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ১৭ আগস্টের হামলার পর র্যাব-পুলিশ ব্যাপকভাবে অভিযানে নামে। কিন্তু নভেম্বর-ডিসেম্বরে জেএমবি ঝালকাঠি, চট্টগ্রাম, গাজীপুর ও নেত্রকোনায় পাঁচটি আত্মঘাতী হামলা চালায়। ওগুলোই ছিল দেশে জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রথম আত্মঘাতী হামলা। জেএমবি সাড়ে ৪ বছরে ২৬টি হামলায় ৭৩ জনকে হত্যা করে। এসব ঘটনায় আহত হন প্রায় ৮০০ মানুষ।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার পর ২০০৭ সালের ৩ মার্চ ধরা পড়া জঙ্গিদের ফাঁসি কার্যকর হয়। এর মধ্য দিয়ে জেএমবির প্রথম পর্বের সমাপ্তি ঘটে। এরপর হবিগঞ্জে মওলানা সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে নতুন কমিটি করে সংগঠনটি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ২০১০ সালে তিনিসহ নতুন নেতৃত্বের অনেকে ধরা পড়ায় সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এর পরপরই সক্রিয় হয় আল-কায়েদার অনুসারী আরেক সংগঠন আনসার আল ইসলাম। ২০১৩ সালে ব্লগার রাজীব হায়দার হত্যার মধ্য দিয়ে এরা আলোচনায় আসে। তারা আইএস দাবি করে হলি আর্টিজান হামলায় অংশ নেয়। সবশেষে এরা আশকোনায় একটি ক্যাম্প, বিমানবন্দরের সামনের পুলিশ বক্স ও খিলগাওয়ে র‌্যাব চৌকিতে আত্মঘাতী হামলা চালায় বলে দাবি করে পুলিশ।

২০১৭ সালে হোয়াইট হাউজের তালিকা ৭৮ সন্ত্রাসী হামলার মধ্যে বাংলাদেশে ৪টি। বাংলাদেশে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার একটি হলো ইতালীয় নাগরিক তাভেল্লা সিজার হত্যাকাণ্ড। ২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান-২ এর ৯০ নম্বর সড়কে ইতালীয় ওই নাগরিককে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার আলুটারি এলাকায় জাপানি নাগরিক হোশি কুনিওকে গুলি করে হত্যা করা হয়। দিনাজপুরে ইতালীয় নাগরিক পিয়েরো পারোলারি সামিওকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে সন্ত্রাসীরা। রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় প্রাণ হারান ইতালির নয়, জাপানের সাত, বাংলাদেশের তিন ও ভারতের একজন নাগরিক। এছাড়া জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন দুই পুলিশ সদস্য। পরদিন সকালে এক সেনা অভিযানের মধ্য দিয়ে ঘটনার পরিসমাপ্তি ঘটে। অভিযান চলাকালে বেকারির এক পাচকসহ হামলাকারী পাঁচ জঙ্গির সবাই নিহত হয়।

বাংলাদেশে জঙ্গিদের মূলত: দুটি ধারা হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটাচ্ছিল। জুলহাস মান্নান এবং এর আগে লেখক-ব্লগারদের হত্যাকা-ের সাথে জড়িত ছিল একটি জঙ্গিদল আনসার আল ইসলাম, যা একসময় আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নামেও পরিচিত ছিল। এই দলটি জঙ্গিগোষ্ঠি আল-কায়দার আদর্শে অনুপ্রাণিত। ধর্মীয়, গোষ্ঠীগত সংখ্যালঘু ও ভিন্নমতাবলম্বীদের নিশানা করে একের পর এক আক্রমণ ও গুপ্তহত্যার মাধ্যমে দেশে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করতে তৎপর উগ্র গোষ্ঠীগুলো।

তিন.
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরে ঘটে যাওয়ায় অন্ধকারময় দিনের ঘটনা মানবজাতির জন্য বড় হুমকী। এই হুমকীতে কোন মানবই নিরাপদ নয়। নিরাপত্তা দেয়া রাষ্ট্র কাঠামো সকল মানবের কল্যাণে নিয়োজিত। কিন্তু ২০ মিনিট পর ঘটনাস্থলে আসে নিউজিল্যান্ড পুলিশ। তার পূর্বে ঠান্ডা মাথায় সিজদারত মুসল্লীদের ওপর গেমসের মতো গুলিবর্ষণ দায় এড়ানো যাবে না। এই দায় কার?
এই দায় একটি মস্তিষ্কের। এই দায় বৃহৎ গোষ্ঠির। কিন্তু মানুষ মানুষের জন্য কি একটু সহানুভূতি নেই? পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো এ ক্ষেত্রে কিছুটা নিরাপদে। ক্রমেই জঙ্গি সংগঠন বা উগ্র মস্তিষ্কের গুটি কয়েক মানবের হিং¯্র থাবায় ধুঁকছে মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরে থেকে বাংলাদেশের দুরত্ব অনেক। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকে ওই সন্ত্রাসী হামলাকে গুরুত্ব দিতে হবে। আইন শৃংখলা রক্ষাকারী প্রশাসন সর্তক অবস্থানে থাকতে হবে। যেন নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরে ঘটে যাওয়া ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোন মানব বা মানব গোষ্ঠির ওপর না ঘটে।

লেখক পরিচিতি, গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক কর্মী, চাঁদপুর।

Share