সারাদেশের ন্যয় নান্দনিক ডিজাইনে চাঁদপুরে জেলা সদরে সরকারিভাবে ১টি ৮ উপজেলায় ৮টি মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে। এর প্রতিটির স্থান ভেদে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ কোটি থেকে সাড়ে ১৩ কোটি টাকা করে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫টির কাজ শুরু ও ২টির কাজ শুরুর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
চাঁদপুর গণপূর্ত বিভাগে কর্মরত একজন প্রকৌশলী সোমবার (২২ জুলাই) চাঁদপুর এ তথ্য চাঁদপুর টাইমসকে জানিয়েছেন।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ বিবেচনাধীন ‘ প্রতিজেলায় ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় চাঁদপুর জেলার সকল উপজেলায় ১টি করে ও জেলা সদরে ১টি ‘মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ’ হচ্ছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ও চাঁদপুর গণybপূর্ত বিভাগের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ও জাতীয় ডিজাইন অনুযায়ী ৪৩ শতাংশ ভূমির ওপর উপজেলায় ৩ তলা ভীতে ও জেলা সদরে ৪ তলা বিশিষ্ট এসব মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলো নির্মাণ হচ্ছে।
স্থানীয় পর্যায়ে এক বা একাধিক সমাজ হিতৈষী ব্যাক্তি এর জমি প্রদানকারী। চাঁদপুরে ৫ উপজেলায় জমি প্রদানকারী জমি দান করেছেন।
২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের মে মাসে এর কাজ শুরু হয় যা ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এগুলোর নির্মাণ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এরইমধ্যে ৭টির নির্মাণ কাজের কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। চাঁদপুর জেলা সদরেরটির স্থান নির্ধারণের জটিলতায় বিষয়টি এখনো অমিমাংসিত রয়েছে বলে চাঁদপুর গণপূর্ত বিভাগ জানিয়েছেন।
চাঁদপুর গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (সিভিল) মো.শাহ আলম বলেন ,‘ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিবেচনাধীন প্রকল্পের মধ্যে এটি একটি। প্রতিটি উপজেলা ও জেলা সদর হবে ইসলামী সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দু। এখানে ১ জন খতিব বা ইমাম ও ১ জন মুয়াজ্জিন সরকারিভাবে নিয়োগ দেয়া হবে।’
তিনি আরো বলেন,‘ স্ব স্ব উপজেলার প্রত্যেক হজ¦ সংক্রান্ত ও হজ্বযাত্রীর বিষয়গুলোর সকল প্রকার সেবা প্রদান, ইমাম প্রশিক্ষণ, ইসলামী গবেষণাসহ ধর্মীয় ৮টি বিষয় ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোতে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
প্রকৌশলী (তড়িৎ) আবদুল্লাহ-আল-মামুন চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘দেশে মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলো নির্মাণ হলে গ্রামের সাধারণ মানুষ ধর্মীয় যে কোনো বিষয়ে পরামর্শ পাবে। সরকার এখানে ধর্মীয় উচ্চ শিক্ষিত আলেম-ওলামাকে নিয়োগ দেবে।একটি উপজেলার সকল ধর্মীয় বিষয়ের ফয়সালা এ মসজিদ থেকে প্রদান করা হবে।’
এছাড়া এসব মডেল মসজিদ ভিত্তিক ইসলামি সংস্কৃতি কেন্দ্রগুলো থেকে ধর্মীয় অপব্যাখ্যা রোধে সুপরামর্শ পাবেন।
প্রতিবেদক : আবদুল গনি, ২২ জুলাই ২০১৯
ডিএইচ