Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জ / ফরিদগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রী খু*নে অভিযুক্ত সুজনের ফাঁ*সির দাবিতে মানববন্ধন
Mishu-murder

ফরিদগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রী খু*নে অভিযুক্ত সুজনের ফাঁ*সির দাবিতে মানববন্ধন

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে মিশুর খু*নে অভিযুক্ত সুজনের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে গৃদকালিন্দিয়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনসহ মানববন্ধনে অংশ নেন এলাকাবাসী ও স্থানীয় সাংবাদিকরা।

বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে গৃদকালিন্দিয়া এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় এলাকাবাসীর সঙ্গে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা হ*ত্যাকারীর ফাঁ*সির দাবিতে স্লোগান দেন।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক বলে তারা গভীরভাবে শোকাহত। এতে ক্ষুব্দ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী অভিযুক্ত খুঁনির ফাঁসি দ্রত কার্যকর করার দাবি জানান। তাদের সুজন নৃশংস ভাবে হত্যা করেছে মিশুকে।

প্রসঙ্গত, ২৯ জুলাই সোমবার সকালে ওই উপজেলার ১৬ নং রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডস্থ চর মহুয়া গ্রামে এ হ*ত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত জাহিদা আক্তার মিশু ওই এলাকায় মৃত সেলিম মিয়ার কন্যা। এ ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসী শোহেব খান নামের অভিযুক্তকে আটক করে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছেন বলে জানা গেছে।

নিহতের মাতা সালেহা বেগম চাঁদপুর টাইমসকে জানান, প্রায় তিন বছর আগে ফরিদগঞ্জ উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের সালামত উল্লাহর ছেলে সোহেলের সাথে তার মেয়ে জাহেদা আক্তার মিশুর পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়।

তিনি জানান বিয়ের আগে এক সময় তার মেয়ে একই এলাকার আবুল বাশারেন পুত্র সুজন খানের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এবং তাদের মোবাইলে কথাবার্তা হতো। কিন্তু বিয়ের পর থেকে মিশু সুজনের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

মিশুর স্বামী কাতার প্রবাসী হওয়ায় সে যখন তার বাপের বাড়ি যেতো তখন তার সাবেক প্রেমিক সুজন খান বিরক্ত করতো। এবং তার সাথে পালিয়ে যাওয়ার কথা বলতো। সুজনের কথা না শোনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনার দিন ভোর বেলা তার বসত ঘরে ঢুকে বটি দা দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে র জখম করে।

তিনি জানান সুজন দা দিয়ে এতটা এলোপাতাড়িভাবে তাকে কোপাতে থাকে যে ওই দায়ের কোপ তার মুখমণ্ডল এবং শরীরে অনেকস্থানে রক্তাক্ত জখম হয়ে মিশু গুরুতর আহত হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। এসময় তার মাতা এগিয়ে আসলে সুজন তার মাকেও কোপাতে অগ্রসর হয়। পরে তারা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে আড়াই,শ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্মরত চিকিৎসক তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

এদিকে তাকে ঢাকায় নেয়ার পথে দাউদকান্দির কাছাকাছি গেলে পথি মধ্যেই সে মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকেলে অভিযুক্ত সুজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত সুজন রুপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের চরমুগুয়া গ্রামের আবুল বাশারে ছেলে।

এ সংক্রান্ত আগের সংবাদটি পড়ুনফরিদগঞ্জে সাবেক প্রেমিকের হাতে প্রবাসীর স্ত্রী খুন
প্রতিবেদক- শিমুল হাছান, ৩১ জুলাই ২০১৯