চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে বিএনপির সাবেক সাংসদ আ ন ম এহছানুল হক মিলনকে দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ার প্রতিবাদে সমর্থকদের ভাঙচুরের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন তাঁর স্ত্রী নাজমুন্নাহার। তিনি দলের এ সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে নাজমুন্নাহার বলেন, ‘এ আসনে দলীয়ভাবে আমি ও আমার স্বামী মিলন প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পেলেও পরে রাজনীতি, দল ও এলাকাবিচ্ছিন্ন মালয়েশিয়াপ্রবাসী মোশারফ হোসেনকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এতে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটি বিএনপির হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবু দলের নীতিনির্ধারকেরা যা ভালো মনে করেছেন, সেটাই করেছেন।’
এহছানুল হককে চূড়ান্ত মনোনয়ন না দেওয়ায় গত শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন নেতা-কর্মীরা। একপর্যায়ে তাঁরা কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে দাবি মানার জন্য ১২ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে তালা খুলে দেন তাঁরা। এরপরও দাবি না মানায় গতকাল গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ভাঙচুর করেন এহছানুলের সমর্থকেরা।
নাজমুন্নাহার দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, ‘দলের সিদ্ধান্ত পাল্টে দেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই। সরকারের আগ্রাসী থাবার মুখে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও মিলন অনেকগুলো প্রতিহিংসামূলক মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে অনিশ্চিত দিন কাটাচ্ছেন। এ অবস্থায় নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার কাজে অপব্যবহার করতে পারে প্রতিপক্ষ। আমি অসুস্থ শরীর নিয়ে ঢাকা-চাঁদপুর, কোর্ট-কাচারি, উকিলের অফিস, নির্বাচন কমিশন, রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তর, দলের কার্যালয়সহ নানা জায়গায় বিরামহীন ছুটতে ছুটতে এখন বড্ড ক্লান্ত। আপনারা আবেগ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সব ধরনের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানানো থেকে নিবৃত্ত থাকুন।’
২০০৮ সালের পর থেকে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহছানুল হকসহ বিএনপির অধিকাংশ নেতা-কর্মী মামলা ও হামলার কারণে কচুয়াছাড়া রয়েছেন। এমনকি দলীয় মনোনয়ন পাওয়া মোশারফ হোসেনও এলাকায় উঠতে পারেননি এখনো।