চাঁদপুর

নির্বাচন সংক্রান্ত মামলায় মিলনের জামিন নামঞ্জুর : কারাগারে প্রেরণ

বিএনপি নেতা ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলনকে নির্বাচনী ব্যয়ের রিটার্ন নির্দিষ্ট সময়ে দাখিল না করা সংক্রান্ত মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।

চাঁদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফিউল আজমের আদালতে মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে এ মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে মিলনকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এর আগে সকাল ১১টায় চাঁদপুর জেলা কারাগার থেকে মিলনকে আদালতে হাজির করা হয়।

মিলনের আইনজীবী কামরুল ইসলাম জানান, নির্বাচনী ব্যয়ের রিটার্ন নির্দিষ্ট সময়ে দাখিল না করায় ২০০৯ সালে সাবেক জেলা নির্বাচন অফিসার মেজবা উদ্দিন বাদী হয়ে জনপ্রতিনিধি অধ্যাদেশ ধারায় চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

এর আগে সোমবার চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬টি মামলায় জামিন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।

মিলনের বিরুদ্ধে ভ্যানিটি ব্যাগ চুরি, জুতা চুরি, ছিনতাইসহ চাঁদপুরের বিভিন্ন আদালতে মোট ২৬টি মামলা চলমান রয়েছে। চাঁদপুর ১ (কচুয়া) আসনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মিলন এবার বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন বলে দলীয় একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এদিকে, মিলনের আইনজীবী মো. কামরুল ইসলাম জানান, এসব মামলায় তাঁর মক্কেল হাজির থাকার কারণে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে কোনো বাধা নেই।

জানা যায়, চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসন থেকে বিএনপির হয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে এ মাসের মাঝামাঝি সময় বিদেশ থেকে দেশে আসেন মিলন। দেশে এসে মিলনের চাঁদপুরের আদালতে হাজির হওয়ার কথা থাকলেও, হাজির হননি তিনি। আদালতে সময়মতো উপস্থিত না হওয়ায় তার সবক’টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

চাঁদপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ও জেলা ডিবির ওসি নুর হোসেন মামুনের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) গভীর রাতে চট্রগ্রামের চকবাজার থানার ৪৫২ চট্টেশ্বরী রোডের ‘মমতাজ ছায়ানীড়’ নামে একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারের আগে এক সপ্তাহ ধরে মিলনের সঙ্গে পুলিশের চোর পুলিশ খেলা শুরু হয়। মিলনকে গ্রেপ্তারে ৬ দিন ধরে চাঁদপুরের আদালত চত্বরে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন ছিলো।

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৭ নভেম্বর, ২০১৮

Share