চাঁদপুর মতলব দক্ষিণে উপজেলার দক্ষিণ নাগদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ফারিয়া আক্তারের বাল্য বিয়ে বন্ধ করেন প্রশাসন। ঘরে অভাব আর অভাব। অভাবের তাড়নায় মা তাকে একই গ্রামের স্বচ্ছল পরিবারের এক প্রতিবন্ধী ছেলের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করেন। বৃহস্পতিবার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।
গত মঙ্গলবার নিজের বিয়ের কথা জেনে পরের দিন সকাল তার বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি জানায় সে। প্রধান শিক্ষক বিয়েটি বন্ধ করার সহযোগিতা চেয়ে স্থানীয় এক সাংবাদিককে বিষয়টি জানান।
সাংবাদিক ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে গত বুধবার দুপুরে ফারিয়ার বাড়িতে পাঠান। ওই কর্মকর্তা সেখানে বিয়ে বন্ধ করেন। ফারিয়ার বাড়ি উপজেলার খাদেরগাঁও ইউনিয়নের নাগদা গ্রামে।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আমেনা বেগম বলেন, ‘শিশুটির লেখাপড়ার প্রতি খুব আগ্রহ। বয়সে খুব ছোট হলেও যথেষ্ট বুদ্ধি ও সাহস রয়েছে তার। নিজের সাহস ও বুদ্ধি দিয়ে শিশুটি যেভাবে নিজের বাল্যবিবাহ ঠেকাল তা প্রশংসার দাবি রাখে। তাঁর ভুল হয়েছে। আর এমন ভুল করবেন না।’
ইউএনও মো. শাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শিশুটিকে আর বাল্যবিবাহ দেবেন না মর্মে লিখিত অঙ্গীকারনামা আদায় করেন তার মায়ের কাছ থেকে। অভাব ও অসহায়ত্বের কথা বিবেচনা করে ফারিয়ার মায়ের নামে একটি ভিজিডি কার্ডের ব্যবস্থাও করা হয়।’
প্রতিবেদক: মাহ্ফুজ মল্লিক
১৬ জানুয়ারি,২০১৯