চাঁদপুর

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে চাঁদপুরে শীতকালীন সবজি ও আমনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল-এর প্রভাবে চাঁদপুরের ১১টি বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলে ও ২০টি নদীতীরবর্তী ইউনিয়নে শীতকালীন সবজি ও আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। শনিবার ও রোববার এ দু’দিনের বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার ফলে ফসলের এ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

শীতকালীন সবজির এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে: হাইমচরের তেলিরমোড়,নয়ানী,মধ্যচর,মাঝিরচর,নীলকমল,ঈশানবালা,ফতেজংগপুর,রব মুন্সির বাজার এলাকা । চাঁদপুরের রাজরাজেস্বর,বলাশিয়া,এমবিকান্দি, সফরমালী,লালপুর বাজার ও আমিরাবাদ, কুমারডুগি, সেনগাওঁ,মহামায়া,মাস্টার বাজার এলাকা । মতলবের ষষ্ঠখন্ডবোরো চর,চর আালেকজান্ডার,একলাছপুর,মহনপুর,ষাটনল জহিরাবাদ, চরকাশিম ও সবজিকান্দি প্রভৃতি ।

এ সব এলাকার ৮০ ভাগ মহিলাদের সার্বিক ও কায়িক শ্রমে প্রতিবছর ব্যাপক হারে সবজি চাষাবাদ হয়ে থাকে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুল-এর প্রভাবে এদের অনেকেরই চাষাবাদকৃত সবজির ক্ষতি হয়েছে ।

বিভিন্ন স্থানের খোঁজ নিয়ে জানা যায়-ঝড়ে শীতকালীন সবজি ও আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষতির পাশাপাশি জোয়ারের পানি ঢুকে অনেক স্থানে চাষের মাছ ভেসে গেছে।
জমিতে শীতকালীন বিভিন্ন ধরনের সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। লালশাক,পালংশাক,বেগুন,মুলাসহ বিভিন্ন সবজিগাছ প্রচণ্ড বাতাসে কাত হয়ে জমিতে পড়ে রয়েছে।

দু’দিন যাবৎ বৃষ্টির কারণে জমিতে পানি জমে শীতকালীন সবজি ও আমন ফসলের নষ্ট হয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুল-এর কারণে শীতকালীন সবজি খেত নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক গাছ মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। গাছের গোড়ায় পানি জমে ও বাতাসে ডালপালা ভেঙে গেছে। শীতকালীন ফসল আবাদ করতে গিয়ে চাষীদের নগদ অর্থ ব্যয় হয় । ঝড়ে বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হলো বুলবুলে । সরকার যদি ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের সহায়তা করে তাহলে তারা উপকৃত হবে ।

চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো.কবির হোসেন জানান, ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিতে জেলার বিভিন্ন স্থানে শীতকালীন সবজি ও আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এর সঠিক পরিমাণ এখনো নির্ণয় করা যায়নি।

জেলার ৫ হাজার ২শ’হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু দু’দিনের ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিতে অধিকাংশ সবজি খেতের ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টিতে ২শ’৫০ হেক্টর জমির সরিষা নষ্ট হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে।

আবদুল গনি ,১১ নভেম্বর ২০১৯

Share