কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানের বিয়ে হচ্ছে পারিবারিক সিদ্ধান্তে। বর-কনে উভয় পরিবারের বাড়িতে কোন আয়োজন না থাকলেও আগে থেকেই তাদের বিয়ের সিদ্ধান্তে সকলেই ছিলেন একমত।
শুক্রবার(২২ মার্চ) জুম্মার পর বিয়েটা হবে, সেটা আগে থেকেই ঠিক করা। তারপরও বিয়ে নিয়ে লুকোচুরির যেন শেষ নেই উভয় পরিবারের। কিন্তু কেন এই লুকোচুরি? এমন প্রশ্ন এখন সকলের মুখে মুখে।
শুক্রবার সকাল পর্যন্ত লুকোচুরির পর সংবাদকর্মীদের চাপে মুখ খুলতে বাধ্য হয় উভয় পরিবার। মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে আগে থেকেই মন আদান প্রদান মামাতো বোন সামিয়া পারভীন সিমুর। সিমু বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
মোস্তাফিজ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামের সন্তান ও জাতীয় ক্রিকেট দলের পেস বোলার। স্বল্প সময়েই খ্যাতির শিখরে পৌঁছে গেছেন এই মোস্তাফিজ। সামিয়া পারভীন সিমু পার্শ্ববর্তী দেবহাটা উপজেলার হাদিপুর গ্রামের মো. রওনাকুল ইসলাম বাবুর মেয়ে। সম্পর্কে তিনি মোস্তাফিজের মামাতো বোন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাদের এক নিকটাত্নীয় বলেন, ‘মোস্তাফিজ যখন তারকা ক্রিকেটার না তখন থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। মোস্তাফিজ অধিকাংশ সময় মাছ ধরার নামে থাকতেন মামাদের বাড়িতে। সেই থেকে দুজনের মধ্যে চেনাজানা ও সম্পর্ক। পারিবারিকভাবে অনেক আগে থেকেই বিয়ে ঠিক হয়ে আছে।’
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘বিয়ের সময় আমাদের বলেনি। বিয়েটা যে শুক্রবার দুপুরে হচ্ছে, এটাও ছিলো অজানা। ফেসবুকের মাধ্যমে জেনেছি মোস্তাফিজের বিয়ের কথা।’
বৃহস্পতিবার মুখোমুখি হয়েও বিয়ের দিনক্ষণের বিষয়টি নিয়ে লুকোচুরি করেন মোস্তাফিজুর রহমানের মামা হবু শ্বশুর মো. রওনাকুল ইসলাম বাবু।
তবে শুক্রবার তিনি জানান, ‘বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ বিয়েটা ঠিক হয়েছে। যার কারণে বাইরের কাউকে বলা হয়নি। কোন আয়োজনই নেই।’
এদিকে, লুকোচুরির বিষয়ে মোস্তাফিজের ভাই মোকলেসুর রহমান বলেন, ‘ভেবেছিলাম পরে সবাইকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবো। আত্নীয়-স্বজন অনেকে দেশের বাইরে থাকে। তারা ফিরলে একসঙ্গে বড় করে বিয়ে পরবর্তী আয়োজন করবো। তবে মিডিয়ার কারণে গোপন করা সম্ভব হয়নি। এখন সকলে জেনে গেছেন। মায়ের ও নানীর (মেয়ের দাদী) ইচ্ছা তাদের বিয়ে হোক। তাছাড়া আমাদের উভয় পরিবারের সকলেই এ বিষয়ে একমত হয়েছি।’ (জাগো নিউজ)
বার্তা কক্ষ
২২ মার্চ,২০১৯
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur