মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় যুবককে কুপিয়েছে মাদকসেবীরা। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ মামলার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুজনকে আটক করে জেলহাজতে পাঠায়। এদিকে মামলার অপর আসামি বাইরে থাকায় পাল্টা অভিযোগ দিয়ে বাদীপক্ষকে হয়রানি ও মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দিয়ে আসছে।
ঘটনাটি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার মানুরী গ্রামে। ওই গ্রামের মির্জা বাড়ীর নুরুল আলমের ছেলে মো. সোহান কে কুপিয়ে জখম করে মাদকসেবীরা।
মামলার আসামিরা হলেন, মানুরী মজুমদার বাড়ির লিটন মজুমদার, ওয়াসিম মজুমদার ও আশু মিয়া। তাদের মধ্যে ধরাছোঁয়ার বাহিরে প্রধান আসামী লিটন মজুমদার।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯ আগস্ট সোমবার মানুরী মজুমদার বাড়ীর সামনে মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় মাদকসেবীরা সোহানকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে। সোহানকে স্থানীয়রা ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে রেফার করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও আসামীরা সোহানের কাছে থাকা একটি মোবাইল সেট ও নগদ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে গেছে বলে উল্লেখ করা হয়।
মামলার বাদী সোহানার ভাই বিল্লাল হোসেন সুমন মির্জা বলেন, আমার ভাইয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম রয়েছে। মাথায় ছয়টি সেলাই দিতে হয়। আমার ভাই চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মামলার এক নম্বর আসামি লিটন মজুমদার শুক্রবার পুলিশ এনে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে।
জানতে চাইলে ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক জাফর আহমেদ বলেন, বাদী বিল্লাল হোসেন সুমি মির্জা বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যের কথা বলছি।
এদিকে একই থানার বাদী বিল্লাল হোসেন সুমন মির্জার মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা উনু মং মারমা মুঠোফোনে বলেন, আসামি ওয়াসিম ও লিটন মজুমদার পূর্ব থেকেই মাদক সেবনের জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
তবে তাদের পরিবারকে মামলা তুলে নিতে কেন হয়রানী করা হচ্ছে বিষয়টি আমার জানা নেই।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চাঁদপুর। ২৪ আগস্ট ২০১৯