Home / সারাদেশ / মাদ্রাসাকে ‘নিষিদ্ধ’ প্রতিষ্ঠান বললেন ঢাবি অধ্যাপক সাদেকা
Sadeka

মাদ্রাসাকে ‘নিষিদ্ধ’ প্রতিষ্ঠান বললেন ঢাবি অধ্যাপক সাদেকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সাদেকা হালিম বলেছেন, মাদ্রসা তো ‘নিষিদ্ধ’ প্রতিষ্ঠান, সেখানে চাইলেই বাইরের কেউ ঢুকতে পারেন না। ফলে সেখানে কী হচ্ছে, শিক্ষার্থীরা কতটুকু নিরাপদ, সেটা বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই।

মঙ্গলবার ডয়চে ভেলেকে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এখন একটা ঘটনা ঘটে গেছে, সবাই এটা নিয়ে কথা বলছে। আসলে আমাদের মূল জায়গাটা হলো আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করতে হবে। সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ই হোক আর স্কুলই হোক।

তিনি আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন নিয়ে সরকার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শৈথিল্যের সমালোচনা করে বলেন, আদালতের আদেশ আছে, কিন্তু অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই তো এটা মানছে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় চাইলে তো উদ্যোগ নিতে পারে। কিন্তু তারাও কিছু করছে না।

অধ্যাপক হালিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয় হয়ে স্নাতক এবং প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে স্নাতকোত্তর পাস করেন এবং ১৯৮৮ সালের অগাস্টে ওই বিভাগে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান । পরবর্তীতে তিনি কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে পড়তে যান কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকে দ্বিতীয় মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি নেন ।

এরপর সাদেকা হালিম কমনওয়েলথ স্টাফ ফেলোশিপ নিয়ে পোস্ট-ডক্টরেট করেছেন যুক্তরাজ্যের বাথ ইউনিভার্সিটি থেকে।

২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত তথ্য কমিশনে প্রথম নারী তথ্য কমিশনার পদে প্রেষণে দায়িত্ব পালন করেন সাদেকা হালিম।

২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এই অধ্যাপক তিন মেয়াদে শিক্ষক সমিতির কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও তিনবার সিনেট সদস্য ছিলেন। অধ্যাপক সাদেকা হালিম জাতীয় শিক্ষানীতি কমিটি-২০০৯ এর ১৮ জন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদের কমিটিতে সদস্য ছিলেন। পেশাগত জীবনে সাদেকা হালিম অতিথি অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেছেন অস্ট্রিয়ার ভিয়েনার বকু বিশ্ববিদ্যালয়ে ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগ ও আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্টের কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হায়ার এডুকেশন লিংক প্রোগ্রামের অধীনে কুইন্স-এর ভিজিটিং ফেলো ছিলেন কিছুদিন।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে তার লেখা প্রায় ৫০টি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। লিঙ্গ-সমতা, বন ও ভূমি, উন্নয়ন, আদিবাসী ইস্যু, মানবাধিকার এবং তথ্য অধিকার প্রভৃতি তার গবেষণার বিষয়।

বার্তা কক্ষ
২৪ এপ্রিল ২০১৯