Home / চাঁদপুর / চাঁদপুর শহরে সিসি ক্যামেরা ঢেকে স্কুলে দুধর্ষ চুরি -ভিডিও
madhusudhon-high-school-theft

চাঁদপুর শহরে সিসি ক্যামেরা ঢেকে স্কুলে দুধর্ষ চুরি -ভিডিও

চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার মধুসূধন উচ্চ বিদ্যালয়ের দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। ১৮ জুলাই রাত আনুমানিক ৩টার সময় এই চুরির ঘটনা ঘটে। ফুটেজে দেখা যায় মুখে কাপড় বেঁধে সিসি ক্যামেরা ঢেকে দিয়ে এই চুরির ঘটনা ঘটায় অজ্ঞাত এক যুবক।

এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুরাণবাজার ফাঁড়ির এসআই পলাশ বড়–য়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং সিসি ক্যামেরায় ধারণ হওয়া চুরির ভিডিও ফুটেজসহ তথ্য সংগ্রহ করেছেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গণেষ চন্দ্র দাস জানান, আমাদের বিদ্যালয়ের নিচতলায় মর্নিং শিফটে রিভার সাইড কিন্ডার গার্টেনের ক্লাশ চলে। তাদের আয়া স্কুলে এসে দরোজা ভাঙ্গা দেখতে পেয়ে বিষয়টি তাৎক্ষণিক আমাকে জানায়। বিদ্যালয় বন্ধ থাকার আমরা বাড়িতে ছিলাম। খবর পেয়ে সাথে সাথে আমি এবং অন্যান্য শিক্ষকরা স্কুলে ছুটে আসি। স্কুলের এসে দেখতে পাই আমার অফিস কক্ষের সকল ড্রয়ার, আলমারি খোলা, এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তছনছ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। চোর শিক্ষক রুমের টয়লেটের ভেন্টিলেটার দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে।

সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সে কৌশলে কাপড় দিয়ে তার মুখ ঢেকে শিক্ষকদের অফিসরুমের সিসি ক্যামেরাটি প্রথমে কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়। চোর সবগুলো আলমারি এবং টেবিলের ড্রয়ার খুলে প্রায় ৫০ হাজারের অধিক টাকা নিয়ে যায়। এরমধ্যে বিদ্যালয়ের সততা ষ্টোরে টাক ও শ্রেণি শিক্ষকদের টাকাও ছিলো।

তিনি আরও জানান, বিদ্যালয়ের ইতিহাসে এই ধরনের বড় চুরির ঘটনা এটিই প্রথম। সিসি ক্যামেরা থাকার পরেও এই ঘটনায় শিক্ষকদের মাঝে আতংঙ্ক বিরাজ করছে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অত্র এলাকার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে হরহামেশাই চুরির ঘটনা ঘটছে। এসব চুরির ঘটনায় বেশিরভাগই শিশু ও কিশোর বয়সীরা জড়িত। শহরের প্রায় প্রতিটি পাড়া মহল্লয় দিনদুপুরে ঘুরে বেড়ায় এসব ছিচকে চোরদল। তারা টোকাই বেশে সুযোগ বুঝে চুরির ঘটনা ঘটাচ্ছে।

অপরদিকে একটি সূত্র থেকে জানা যায়, চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন স্পটে এসব চোরদের হোতা রয়েছে। তারা অল্প বয়সী কিশোরদের দিয়ে ছোট বড় চুরির ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। পরে তারাই আবার সামান্য টাকা দিয়ে চুরিকৃত পণ্য ক্রয় করে থাকে।

সিসি ক্যামেরার ফুটেজে—

প্রতিবেদক- আশিক বিন রহিম, ১৯ আগস্ট ২০১৯