হাজীগঞ্জ

হাজীগঞ্জের পাচৈই রাস্তার মেরামতের পাশাপাশি চলছে মেকাডমের কাজ

হাজীগঞ্জের গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পাচৈই জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি ২০১৬ সালে টেন্ডার পায় কন টেম্পোরারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে প্রথম বছর রাস্তার দু’পাশে পুরানো মাটি সরিয়ে রাখে প্রায় ৩ বছর। আর এতে করে ভাল মাটির রাস্তাটি বৃষ্টির পানি জমে চলাচলে চরম দূর্ভোগে প্রহাতে হয়েছে এলাকাবাসীর ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১০-১২ দিন ধরে উক্ত রাস্তার ঝুকিপূর্ণ স্থানে মাটির বদলে বালি দিয়ে রাখায় বৃষ্টিতে ঝুকিপূর্ণ পুকুর ও ডোবার পাশ ভেঙ্গে যায়। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের খামখেয়ালিতে মেরামতের কাজ শেষ না করে চলছে মেকাডমের কাজ।

অভিযোগ উঠেছে- পুরানো গর্তে বালি দিয়ে দু’ নম্বর তিন নম্বর ইটের কণা ফেলে মেকাডমের কাজ এগিয়ে চলছে। আর এতে করে স্থানীয় লোকজনের বাধাঁ উপেক্ষা করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন দ্রুত তাদের কাজ এগিয়ে নিচ্ছে।

কাজ চলমান অবস্থায় ঠিকাদারের লোকজন ছাড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী থেকে কোনো অফিসারকে এলাকার লোকজন দেখেনি বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

জানা যায়, পাচৈই হাফেজসাব হুজুরের বাড়ি হতে হাজীগঞ্জের শেষ সীমানা গুয়াটোবা পর্যন্ত মাত্র এক কি.মি রাস্তার ৬০ লাখ টাকার কাজটি পায় ফরিদগঞ্জের কনট্রেম্পরারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সাব কন্টেকদার হিসাবে কাজ পরিচালনা করছেন ফরিদগঞ্জের সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম পাটওয়ারী। দলের প্রভাব বিস্তার করে তিন বছর খামখেয়ালী ভাবে কাজটি ফেলে রাখে বলে এলাকাবাসী জানায়।

বর্তমানে রাস্তাটির পাশে পুকুর ও ডোবা স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ শেষ না করে মেকাডমের কাজ চলমান অবস্থায় কথা হয় ঠিকাদারের দায়িত্বরত লোক কামরুল ও হারুনের সাথে। তারা বলেন,‘ আমরা আগে মেটাডমের কাজ শেষ করে রোলার দিয়ে ফিনিশিং করবো।এর পর ঝুঁকিপূর্ণ স্থানের কাজ সম্পর্ন্ন করে পিচ ডালাই দিব। এখনো অনেক কাজ বাকি আছে। এলাকার লোকজন যে ধরনের অভিযোগ তুলেছে তা সত্য নয়। এ কাজে আমাদের প্রায় ১০-১২ লাখ টাকা ঘাটতি আসবে।’

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত পৌকশলী জিয়াউল ইসলাম মজুমদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি পাচৈই রাস্তার চলমান কাজ সম্পর্কে কোনো অবগতি নেই। তবে খোঁজ নিয়ে বিষয়টি আমলে নিবেন বলে জানান এ কর্মকর্তা।

জহিরুল ইসলাম জয় , ৪ অক্টোবর ,২০১৯

Share