চাঁদপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ১৩ টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এতে ব্যয় নির্ধারণ রয়েছে ৬৫৩ কোটি ৮৫ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। এ বছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ ছোট-বড় ৮শ’২৭টি স্কীম বাস্তবায়ন করেছে। এরইমধ্যে ২ টি প্রকল্পের কাজ শতভাগ সম্পন্ন ও বাকি সব স্কীমগুলোর কাজ চলমান রয়েছে ।
রবিবার (১৪ জুলাই) স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এস এম হেদায়েত উন্নয়ন প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত বিবরণপত্রের বরাত দিয়ে তিনি চাঁদপুর টাইমসকে বিষয়টি জানান।
সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিবরণপত্রের দেয়া তথ্য মতে, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পল্লীসড়ক ও কালভার্ট মেরামত কর্মসূচির আওতায় ৭৪ স্কীম গ্রহণ করা হয়েছে। এতে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৮ কোটি ৪৭ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। এতে এ বছর ২২টির কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে।
রুরাল ট্রান্সপোর্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রজেক্ট-২ এর আওতায় ১০ টি স্কীম গ্রহণ করা হয়েছে । এতে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৯০ কোটি ৯৩ লাখ ৩২ হাজার টাকা। এতে এ বছর ৫ টির কাজ ৮৮ ভাগ শেষ হয়েছে।
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় ১৯৩ টি স্কীম গ্রহণ করা হয়েছে।এতে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৪ কোটি ৫০ লাখ ১০ হাজার টাকা। এতে এ বছর ১৬ টির কাজ ৯২ ভাগ শেষ হয়েছে।
উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ ৪ টি প্রকল্প নেয়া হয়। ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ কোটি ২১ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। এতে এ বছর ২ টির কাজ ৯২ ভাগ শেষ হয়েছে। উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়কে সেতু নির্মাণে ২ টি প্রকল্প নেয়া হয়। ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯ কোটি ৩৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এতে এ বছর ২ টির কাজ ৫৭ ভাগ শেষ হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণে ৩ টি প্রকল্প নেয়া হয়। ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ কোটি ১৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। এতে এ বছর ১ টির কাজ ৬০ ভাগ শেষ হয়েছে।
দেশব্যাপি সার্বজনীন সামাজিক অবখাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের অধীন সড়কে সেতু নির্মাণে ১০৯ টি স্কীম নেয়া হয়। ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ কোটি ৩৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এতে এ বছর ১২ টির কাজ ৪৫ ভাগ শেষ হয়েছে।
সমগ্র দেশে শহর ও ভূমি উন্নয়ন অফিস নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ব্যয় হচ্ছে ৫১ লাখ ১৫ হাজার টাকা । ৪ টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৬ কোটি ৩৪ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ১৩ টি স্কীম গ্রহণ করা হয়েছে। এতে এ বছর ৬ টির কাজ ৫৫ ভাগ শেষ হয়েছে।
প্ল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প ( কুমিলা, বি-বাড়িয়া ও চাঁদপুর জেলা) শীর্ষক এর আওতায় ২৭২ টি স্কীম গ্রহণ করা হয়েছে । এতে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬৭ কোটি ৮৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এতে এ বছর ১৯ টির কাজ ৮৬ ভাগ শেষ হয়েছে।
বৃহত্তর কুমিল্লা জেলার গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-৩ এর আওতায় ১১৪ টি স্কীম গ্রহণ করা হয়েছে। এতে এ বছর ১৭ টির কাজ ৬০ ভাগ শেষ হয়েছে। ইউনিয়ন ভ’মি অফিস পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ব্যয়ে ৮ টি স্কীম গ্রহণ করা হয়েছে। এতে এ বছর ৬ টির কাজ ৯৮ ভাগ শেষ হয়েছে।
বন্যায় ক্ষাতগ্রস্থ গ্রমীণ সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসন প্রকল্পে ১৬ টি স্কীম গ্রহণ করা হয়েছে। ব্যয় নির্ধারণ রয়েছে ২২ কোটি ৯৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা। এতে এ বছর ৮ টির কাজ ৫১ ভাগ শেষ হয়েছে। জেলা শিল্পকলা একাডেমির ভবন নির্মাণ প্রকল্পে ১ কোটি ৫৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয় ১ টি স্কীম রয়েছে। নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে এ বছরই এটির কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে।
চাঁদপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী চাঁদপুর টাইমসকে জানান,‘এ অর্থবছর ২ টির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছর এর কাজ চলমান থাকবে।’
তিনি আরো বলেন ‘চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছর ৪ বছর মেয়াদে প্রত্যেক নির্বাচনি এলাকায় সংসদ সদস্যদের জন্যে‘গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-৩’এর আওতায় প্রত্যেকের জন্যে ২০ কোটি টাকা করে একটি নতুন প্রকল্প গৃহীত হয়েছে। যা এ বছর থেকেই শুরু হবে।’
প্রতিবেদক : আবদুল গনি
১৫ জুলাই ২০১৯