বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র প্রভাবে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে আটকেপড়েছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে থেকে আগত কয়েক শতাধিক লঞ্চ যাত্রী। অনির্দিষ্ট সময়ের জন্যে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় এসব যাত্রীরা শহরের বড়স্টেশন রোডস্থ উত্তর শ্রীরামদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেন। সীমাহীন দূর্ভোগের শিকার এসব যাত্রীদের মাঝে খাবার বিতরণ করেছেন দেশের শীর্ষ করদাতা দানবীর হাজী মো. কাউছ মিয়া।
১০ নভেম্বর শনিবার সকালে হাজী মো. কাউছ মিয়ার পক্ষ থেকে এসব যাত্রীদের মাঝে সকালে রুটি কলাসহ শুকনো খাবার এবং দুপুরের বিরিয়ানি বিতরণ করা হয়। তার পক্ষ থেকে এসব খাবার তুলে দেন ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি দেলু দর্জি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শাহাবুদ্দিন, ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহআলম বেপারী, উত্তর শ্রীরামদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান সিদ্দিকীসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ।
আওয়ামী লীগ নেতা দেলু দর্জি জানান, ঘূর্ণিঝড়ে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। যার ফলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে থেকে আগত কয়েক শতাধিক লঞ্চ যাত্রীউত্তর শ্রীরামদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
এ খবর শুনে হাজী মো. কাউছ মিয়া ব্যথিত হন। তিনি তাৎক্ষনাত মানবিক দিক বিকেচনা করে আটকেপড়া এসকল যাত্রীদের মাঝে খাবার বিতরণের ব্যবস্থা করেন।
তিনি আরো বলেন, চাঁদপুরের কৃতী সন্তান হাজী মো. কাউছ মিয়া দেশের যে কোনো ঝড়, বন্যাসহ দুর্যোগময় সময় অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ান।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, চাঁদপুর সদরের ১২ এবং হাইমচরে ৭টি বিদ্যালয়ে মানুষজন আশ্রয় নিয়েছে। এর মধ্যে চাঁদপুর লঞ্চঘাটের আটকেপড়া যাত্রীরা এ বিদ্যালয়ে অাশ্রয় নিয়েছে। আমরা প্রতিটি বিদ্যালয়ে আটকে পরা যাত্রীদের খোঁজ-খবর নিচ্ছি। তাদের যে কোনো প্রয়োজনে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আমরা পাশে আছি।
এদিকে এর আগে শুক্রবার রাতে পৌরসভার পক্ষ থেকে যাত্রীদের মাঝে রুটি, কলাসহ বিভিন্ন শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়।
কাউন্সিলর শাহ আলম বেপারী সাংবাদিকদের জানান, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহামেদের নির্দেশেই আমরা আটকেপড়া লঞ্চ যাত্রীদের মাঝে খাবার বিতরণ করেছি। যাত্রীরা থাকতে চাইলেও তাদেরকে প্রয়োজনে ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা করা হবে।
প্রতিবেদক : আশিক বিন রহিম, ১০ নভেম্বর ২০১৯