৫০ ওভার শেষে ভারত ৯ উইকেটে ৩১৪। শেষের লড়াইয়ে বেশ ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। মোস্তাফিজের ৫ উইকেট বিনা উইকেটে ১৮০ রান, ভারত ভয় দেখাচ্ছিল অনেক বড় স্কোরের।
ম্যাচের তখন পঞ্চম ওভার। চতুর্থ বলটি একটু খাটো লেংথে করেছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। আয়েশ করে পুল করতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করে ফেলেন রোহিত শর্মা।
মিডউইকেট ফিল্ডিং করছিলেন তামিম ইকবাল। বল বাতাসে ভেসে সেদিকে যাওয়ায় দিব্য দৃষ্টিতে অনেকেই রোহিতের ড্রেসিং রুমে ফেরা দেখতে পেয়েছিলেন। ভুল। রোহিতের সহজ ক্যাচটি তামিম দু হাত দিয়ে ধরার চেষ্টা করেও ফেলে দিলেন!
‘জীবন’ উপহার পাওয়ার পরের ওভারেই ছক্কা মেরে রোহিত বুঝিয়ে দিয়েছেন, ক্যাচ ছাড়ার অনেক বড় খেসারতই সম্ভবত দিতে হবে। রোহিত তখন ৯ রানে ব্যাট করছিলেন।
শেষ পর্যন্ত রোহিত আউট হয়েছেন সৌম্য সরকারের বলে ক্যাচ দিয়ে। ততক্ষণে ভারত উদ্বোধনী জুটিতে ১৮০ রান তুলে ফেলেছে। রোহিত এই বিশ্বকাপে নিজের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। রানেও রোহিত এই আসরে সবার ওপরে।
স্কোরবোর্ডে আর ১৫ রান যোগ হতেই ফিরেছেন অন্য ওপেনার রাহুলও। ৭৭ রানে তাঁকে মুশফিকের ক্যাচ বানিয়েছেন রুবেল হোসেন। জোড়া এই আঘাতে ম্যাচে ফেরার প্রাণান্তকর চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ। তাতে সুবিধা হয়নি। দ্রুতই ৪২ রানের জুটি গড়ে জোড়া ধাক্কা সামলে নিয়েছে পন্ত-কোহলি জুটি। শেষের ১০ ওভারের ঝড় তোলার মঞ্চটা তৈরি করছিল ভারত। তবে ৩৯তম ওভারে মোস্তাফিজের জোড়া আঘাত। প্রথমে কোহলিকে ডিপে ক্যাচ বানান। এক বল বিরতিতে পান্ডিয়া স্লিপে সৌম্য সরকারের অসাধারণ এক ক্যাচের শিকার হন। সাকিব একমাত্র শিকারে পন্তকে ফেরানোর পর মোস্তাফিজ তৃতীয় শিকার হিসেবে তুলে নেন কার্তিককেও।
মোস্তাফিজের আবার জোড়া শিকার তাঁর ও ইনিংসের শেষ ওভারে। ওই ওভারেই পড়েছে তিন উইকেট। নিজে দুটি শিকার করে ৫ উইকেট পূর্ণ করেছেন, আরেকটি রান আউট। মোস্তাফিজের ৫ উইকেটে শেষে উজ্জীবিত বাংলাদেশ ভারতকে পেল নাগালের মধ্যে।
করেসপন্ডেন্ট
২ জুলাই ২০১৯