চাঁদপুর শহরের কর্নফুলী হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে এক নবজাতক শিশুকে ‘ভুল চিকিৎসায় মেরে ফেলার’ অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
সোমবার (২২ জুলাই) বেলা ৩ টায় কর্নফুলী হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
নবজাতক শিশুর পিতা সোহেল হোসেন জানান, ডাঃ শামছুন্নাহার তানিয়ার পর্যবেক্ষনে স্ত্রী রুবি বেগম ছিলো। আমার স্ত্রীর ডেলিভারি সময় ছিলো আরো ১৫ দিন পর। কিন্তু ডিউটি ডাক্তার কর্তব্যরত চিকিৎসক নারায়ন রুবিকে পর্যবেক্ষন করার পর রোগীর অবস্থা বেগতিক বলে সিজার করার নির্দেশ দেন। পরে ডাঃ শামছুন্নাহার তানিয়া কোন ধরনের পরীক্ষা নিরিক্ষা ছাড়া ও রোগী এবং বাচ্চার হার্ট বিট পরীক্ষা না করে সিজার করে।
সিজার করার পর তারা জানায় মৃত বাচ্চা প্রসব হয়েছে। এর পর পরই শামছুন্নাহার তানিয়া কোন কিছু না বলেই তড়িগড়ি করে বেরিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরিবারের দাবি নির্ধারিত সময়ের আগে টাকা রোজগারের আসায় রোগীকে সিজার করা হয়। ফলে বাচ্চাটি মারা যায়।
এতে বাচ্চার মা এখন চরম সংকটাপন্ন। এ ঘটনায় বাচ্চার স্বজনরা হাসপাতালে হট্রগোল করে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে হাসপাতাল কতৃপক্ষ দফায় দফায় বাচ্চার পরিবারের সাথে বৈঠক করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ডা. শাসছুন্নাহার তানিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি চাঁদপুর টাাইমসকে জানান, ‘ডিউটি ডাক্তারের পর্যবেক্ষনের পর আমি সিজার করেছি। এ বিষয়ে আমি এখন আর কথা বলতে পারবো না। আমি খুব চাপে আছি।’
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, ২২ জুলাই ২০১৯