‘পদ্মা সেতু নির্মাণে মানুষের ১ লাখ মাথা লাগবে ! নইলে স্বপ্নের পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজের জোড়া লাগবে না ‘ তাই সারাদেশে একযোগে চলে আসছে, তথাকথিত ছেলে ধরার গুজব। এমন গুজব মানুষের মনে দিন দিন আতংক সৃষ্টি করছে। বিষয়টি মুঠোফোনে ও ফেসবুক পেজে ম্যাসেজ দিয়ে জানতে চেয়েছেন।
একই সাথে ক’দিন ধরে গুজব উঠেছে-সারাদেশে একযোগে টানা তিন রাত নাকি বিদ্যুৎ সরাবরাহ বন্ধ থাকবে। আর এ সুযোগে রাতের আঁধারে মানুষের ঘরে ঢুকে মাথা কেটে নেয়া
হবে ! টানা তিন দিন বিদ্যুৎ থাকবে না। এমনই গুজব সাধারণ মানুষের মাঝে একটি মহল ছাড়াচ্ছে। বিশেষ করে গ্রামের মানুষ সোস্যাল মিডিয়া বা গণমাধ্যম থেকে দূরে থাকার সুযাগকে কাজে লাগাচ্ছে এ চক্র।
তাই দিন দিনই ছেলে ধরা এবং মানুষের মাথা কেটে নেয়ার গুজব দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকার গুজবে অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে শশুর বাড়ি থেকে বাপের বাড়ি এবং কেউ কেউ নিজেদের সুবিধা মতো জায়গায় আশ্রয় নেয়ারও খবর পাওয়া গেছে।
জা নাযায়,গত মাস খানেক ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিভিন্ন জনের ফেসবুক স্ট্যাটাসে পদ্মাসেতু নির্মাণ কাজে মানুষের মাথা লাগবে বলে মিথ্যে পোস্ট দেয়া হয়। আর ওই পোস্টের সাথে সাথে চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্নস্থানে কয়েক জনকে ছেলেধরা সন্দেহে মারধর করার ঘটনাও ঘটে। এমন কি নেত্রকোনায় শিশু ছেলের মাথাসহ এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনাও ঘটে।
তাই খুব সহজেই ‘মাথা কাটা এবং ছেলে ধরার গুজব’ ছড়িয়ে পড়ে সাধারণ মানুষের মাঝে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৩-৪ দিন ধরে দেশের সাথে চাঁদপুরেও নতুন করে তিন দিন বিদ্যুৎ না থাকার গুজব উঠে।
দেশের এমন ভয়ানক গুজব পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মাঝে আরো বেশি মাথা কাটার আতংক ছড়িয়ে পড়ে। টানা তিন দিন বিদ্যুৎ না থাকার গুজব নিয়ে চাঁদপুর শহরেন বিভিন্ন চায়ের স্টলে,হাসপাতাল,স্টেশনসহ বিভিন্নস্থানে মানুষকে আলাপ আলোচনা করতে শুনা যায়। গুজবের এই সব আলোচনা থেকেই মানুষের মাঝে আরো বেশি আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে টানা তিন রাত বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকবেনা এমন গুজব প্রসংঙ্গে চাঁদপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো.শাহাদাত হোসেন বলেন,‘এটা সম্পূর্ণ গুজব। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কিংবা চাঁদপুর বিদ্যুৎ অফিস থেকে এমন কোনো ঘোষণাই দেয়া হয়নি।’
তিনি আরোও বরেন,‘এমন গুজব সাধারণ মানুষ যাতে বিশ্বাস না করে সে জন্য আমরা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় মিথ্যে গুজব রটানোর বিরুদ্ধে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছি এবং মাইকিং করেও মানুষকে সচেতন করেছি।’
প্রতিবেদক :কবির হোসেন মিজি, ২৬ জুলাই ২০১৯