কলকাতা থেকে প্রথম পর্যটকবাহী জাহাজ আরভি বেঙ্গল গঙ্গা বরিশালে এসে পৌঁছেছে। বুধবার(৩ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে জাহাজটি বরিশাল ঘাটে এসে পৌঁছায়।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কলকাতার খিদিরপুর থেকে ১৯ জন পর্যটক নিয়ে রওনা হয় জাহাজটি। এছাড়া কলকাতায় এখন বাংলাদেশি জাহাজ মধুমতি রয়েছে। এর মধ্যে লন্ডন, আমেরিকা ও ইতালির ৬ জন পর্যটকও রয়েছেন। আছেন বিদেশি সাংবাদিকরাও।
বৃহস্পতিবার(৪ এপ্রিল) ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়া হবে। পথিমধ্যে চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জও ঘুরে দেখবেন পর্যটকরা।
পথে জাহাজটি কাউখালীতে নোঙর করা হয় এবং সর্বশেষ বরিশালে নোঙর করা হয় জাহাজটি। এখানে বুধবার জাহাজটি অবস্থান করবে বলে জানা গেছে এবং পর্যটকরা বরিশাল ঘুরে দেখবেন বলে জানিয়েছেন পর্যটকদের দেখভালের দায়িত্বে থাকা গালফ্ অরিয়েন্ট সীওয়েস লিমিটেডের লজিস্টিক ম্যানেজার মো.নুরুজ্জামান।
তিনি জানান, ১৯ জন পর্যটক ও ৩০ জন ক্রু নিয়ে কলকাতার খিদিরপুর থেকে রওনা হয় জাহাজটি। এরপর ভারতের সুন্দরবনের কোলঘেঁষে, বাংলাদেশে মোংলা হয়ে জাহাজ প্রথমে কাউখালীতে নোঙর করা হয়। রাত হয়ে যাওয়ায় নিরাপত্তার জন্য সেখানে অবস্থান নিয়ে সকালে পুনরায় রওনা দেয়া হয় এবং বরিশালে এসে নোঙর করা হয়।
তিনি জানান, এখানে বুধবার অবস্থান করে বৃহস্পতিবার(৪ এপ্রিল) ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়া হবে। পথিমধ্যে চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জও ঘুরে দেখবেন পর্যটকরা। এরপর ৮ এপ্রিল পুনরায় কলকাতার উদ্দেশে ঢাকা থেকে রওনা দেবে জাহাজ আরভি বেঙ্গল গঙ্গা।
জাহাজটি বরিশাল এসে পৌঁছালে বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তারা পর্যটকদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
পর্যটকরা জানান, নৌভ্রমণটি খুবই আনন্দদায়ক। আমরা খুব ইনজয় করছি। এই জার্নিতে কোনো প্রবলেম আমাদের কাছে ধরা পড়েনি। খুব ভালোভাবেই ট্যুরটা হচ্ছে।
বরিশাল বিআইডব্লিটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপপরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে সড়ক ও রেলপথে ভারতের যোগাযোগ থাকলেও নৌপথে যোগাযোগটা নতুন বন্ধন সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, ৭০ বছর আগে এই পথে বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। তবে এখন নতুনভাবে তা শুরু হওয়া শুভকর বলে আমার ধারণা। মনে হচ্ছে দিন দিন এই নৌপথে পর্যটকদের সংখ্যা আরও বাড়বে।
জাহাজটি বরিশাল এসে পৌঁছালে বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তারা পর্যটকদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
পর্যটকরা জানান, বেঙ্গল গঙ্গার মাধ্যমে নৌভ্রমণ খুবই আনন্দদায়ক। আমরা খুব ইনজয় করছি। এই জার্নিতে কোনো প্রবলেম আমাদের কাছে ধরা পড়েনি। খুব ভালোভাবেই ট্যুরটা হচ্ছে।
বরিশাল বিআইডব্লিটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপপরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে সড়ক ও রেলপথে ভারতের যোগাযোগ থাকলেও নৌপথে যোগাযোগটা নতুন বন্ধন সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, ৭০ বছর আগে এই পথে বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। তবে এখন নতুনভাবে তা শুরু হওয়া শুভকর বলে আমার ধারণা। মনে হচ্ছে দিন দিন এই নৌপথে পর্যটকদের সংখ্যা আরও বাড়বে।
এসময় তিনি আরভি বেঙ্গল গঙ্গা ও এমভি মধুমতির যাত্রাপথে কল্যাণ কামনা করেন।
বার্তা কক্ষ
৩ এপ্রিল,২০১৯