মো. ইয়াকুব আলী। প্রথম সুপার হিসাবে নিয়োগ পেয়ে চাকুরী শুরু করেন, প্রতিষ্ঠানটি সরকারী অনুদান ও অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারীগন বেতন ভাতা বৃদ্ধি পাওয়ার আশা নিয়ে স্বপ্ন ভুনছিলেন।
কিন্তু ২৩ অক্টোবর অদৃশ্য কারণে কচুয়ার কোয়া-চাঁদপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত হওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
সার্বিক সুযোগ সুবিধা পাওয়ার আশায় বুক বেধে মাদ্রাসায় কর্মরত শিক্ষক কামরুজ্জামান ও বেলায়েত হোসেনসহ বেশ কিছু শিক্ষক- কর্মচারী এখন জীবন জীবিকার তাগিদে পরিবারের সদস্যদের মুখে দু’মুঠো আহারের সংস্থান করতে শিক্ষকতার পাশাপাশি কৃষি কাজসহ অন্যান্য কাজ বেছে নিয়েছেন।
২০০০ সালের ১ জানুয়ারী তৎকালীন সময়ে কচুয়া পৌর সদর থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার পশ্চিমে কোয়া-চাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষা অধিদপ্তর কুমিল্লা অঞ্চলের সাবেক উপ-পরিচালক মরহুম আমিনুল হক এলাকার মাদ্রাসা শিক্ষা বিস্তারের চাহিদা মেটাতে এ মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন।
এ মাদ্রাসায় বর্তমানে প্রায় ৫০ শতাংশ ভূমি থাকলেও ক্লাস চলার মতো কোন একাডেমিক ভবন না থাকায় সমস্যার মধ্যদিয়ে শিক্ষকরা পাঠদান চালিয়ে যান।
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতাকালীন সুপার মো. ইয়াকুব আলী জানান, মাদ্রাসাটি শতভাগ পাসসহ উল্লেখযোগ্য ছাত্র-ছাত্রী জিপি-এ পেয়ে আসছে। ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা, পরীক্ষার পাশের হার, জমি, অবকাঠামোসহ সব ক্ষেত্রেই মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্তির শর্ত পূরন করেছে। আমাদের দুঃখ কষ্ট দেখার যেন কেউ নেই। মাদ্রাসাটিতে বর্তমানে ১৩জন শিক্ষক, ৩ কর্মচারী ও প্রায় ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে।
মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. জামাল হোসেন জানান, কোয়া-চাঁদপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসাটি এমপিও ভুক্ত করণ করা এখন সময়ের দাবি।
তার দাবি এ প্রতিষ্ঠানটি প্রায় প্রতিবছর সন্তোষজনক ফলাফল করে আসছে। তিনি আরো জানান, সারা দেশের ন্যায় চাঁদপুরের ৩১টি বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়। কিন্তু এ মাদ্রাসার নাম না থাকায় এলাকাবাসী খুবই মর্মাহত হয়েছে।
কোয়া-চাঁদপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় মাদ্রাসার শিক্ষক ও কর্মচারীদের স্বপ্ন ভেঙ্গে গেল।
বর্তমানে মাদ্রাসার ১৩জন শিক্ষক, ৩ কর্মচারী পরিবার পরিজন ও প্রায় ৪ শতাধিক শিক্ষার্থীর জীবন মান রক্ষায় মাদ্রাসাটি পূর্ণ বিশেষ বিবেচনা করে দ্রুত এমপিওভুক্ত করনের প্রযোজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন।
প্রতিবেদক : জিসান আহমেদ নান্নু, ৪ নভেম্বর ২০১৯