চাঁদপুরে দু’সপ্তাহব্যাপি রিফ্রেশার্স প্রশিক্ষণের সমাপণি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মো.মাজেদুর রহমান খান বলেন,‘ প্রশিক্ষণ মানুষের জ্ঞান,দক্ষতা ও মনোভাবের পরিবর্তন ঘটায়। গ্রাম আদালত সঠিকভাবে পরিচালনা করতে হলে এর আইনগত বিষয়গুলো সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে। সদ্য-সমাপ্ত এ প্রশিক্ষণগুলোর মাধ্যমে আইনগত জানা-শোনার ঘাটতিগুলো পূরণ করার চেষ্টা করা হয়েছে। আইনগত ধারণাা লাভের পাশাপাশি আমাদের মন-মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে । যাতে আমরা এলাকার সাধারণ মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে পারি।’
চাঁদপুরে রোববার (৩০ জুন) ২০১৯ বিকালে স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শওকত ওসমানের সভাপতিত্বে দু’সপ্তাহব্যাপি রিফ্রেশার্স প্রশিক্ষণের সমাপণি অনুষ্ঠানটি চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি আরো বলেন,‘সহজে ও স্বল্প সময়ে নামমাত্র মূল্যে বিচারিক-সেবা প্রদানের জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে গ্রাম আদালত স্থাপন করা হয়েছে। এখানে সিংহভাগ ক্ষেত্রেই এলাকার দরিদ্র, অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী বিচার চাইতে আসবে। এ ক্ষেত্রে তাদের জন্য সর্বোচ্চ সেবা দিতে হবে যাতে তারা ন্যায়বিচার পায়। প্রশিক্ষণ-লব্ধ জ্ঞান অবশ্যই মাঠ পর্যায়ে কাজে লাগাতে হবে যেন আমাদের সমন্বিত চেষ্টা সফল হয় এবং মানুষ উপকৃত হয়। সবাইকে দেশ প্রেম নিয়ে কাজ করতে হবে।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, এনডিসি মো.মাহবুবুর রহমান,গ্রাম আদালতের ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর নিকোলাস বিশ্বাস ও প্রকল্পের সহযোগী সংস্থা ‘ব্লাস্টে’র জেলা সমন্বয়কারী মো.আমিনুর রহমান।
১৫-৩০ জুন ২০১৯ মেয়াদে জেলা পর্য়ায়ে ৬টি ব্যাচে গ্রাম আদালত বিষয়ক রিফ্রেশার্স প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণগুলোতে চাঁদপুর জেলার ফরিদগন্জ, কচুয়া, শাহরাস্তি, মতলব-উত্তর ও মতলব-দক্ষিণ উপজেলাধীন ৪৪টি ইউনিয়নের ১৭৬ জন চেয়ারম্যান, প্যানেল চেয়ারম্যান, সচিব ও গ্রাম আদালত সহকারীগণ অংশগ্রহণ করেন।
প্রথম ৩টি ব্যাচে ৮৮ জন চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যান ও পরবর্তী ৩টি ব্যাচে ৮৮ ইউপি সচিব ও আদালত সহকারীদের এ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসঘ উন্নয়ন কর্মসূচি’র সহযোগিতায় স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত জেলা পর্যায়ে দু’ সপ্তাহব্যাপি অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণগুলোর রোববার ছিল শেষ দিন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক মো. শওকত ওসমান বলেন,‘ ইউপি সচিব ও গ্রাম আদালত সহকারীবৃন্দ সর্বদা সমন্বয় রেখে কাজ করবেন যাতে গ্রাম আদালতের বিচারিক প্রক্রিয়া সঠিকভাবে অনুসরণ করে বিচার-কার্য চলতে পারে। বিচারিক প্রক্রিয়ার প্রতিটি পদক্ষেপের সময়-সীমা আইন অনুযায়ী বেঁধে দেয়া হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানগণ এ সময়-সীমা কখনো কখনো মেনে চলতে অনীহা প্রকাশ করেন। এ ক্ষেত্রে সচিবগণ সর্বোচ্চ সহযোগিতা দিবেন যাতে বিচার-প্রক্রিয়ার কোন অংশ বিঘ্নিত না হয় এবং নির্ধারিত সময়-সীমা মেনে বিচার-কার্য পরিচালিত হয়। খেয়াল রাখতে হবে যেন বিচারপ্রার্থীগণ কোনভাবেই হয়রানীর শিকার না হন। ইউপি চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে তারা যেন অযথা কালক্ষেপনের মধ্যে না পড়েন; প্রয়োজনে প্যানেল চেয়ারম্যানকে দিয়ে গ্রাম আদালতের কাজ চালিয়ে যেতে হবে ’
স্টাফ করসপন্ডেন্ট
৩০ জুন ,২০১৯
এজি
2 Attachments