আইনি প্রক্রিয়া শেষে খালেদার মুক্তির আন্দোলন। এ প্রক্রিয়ায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারামুক্তির জন্য আইনগতভাবে আর কী কী করা যেতে পারে, তা জানতে গতকাল শনিবার রাতে দলের গুলশানের কার্যালয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন জ্যেষ্ঠ নেতারা। এর আগে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। এই বৈঠকে লন্ডন থেকে স্কাইপে যুক্ত হন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৈঠকে উপস্থিত একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়াকে জামিনে মুক্ত করতে আইনি সব প্রক্রিয়া শেষ করতে চান বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা। এরপরই মুক্তির আন্দোলনের কর্মসূচি দিতে চান তাঁরা। বৈঠকে আইনজীবীদের মধ্যে খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, সানাউল্লাহ মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠকের আগে সন্ধ্যায় গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। প্রায় দেড় মাস পর অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বর্তমান প্রেক্ষাপটে দলের করণীয়, সাংগঠনিক অবস্থা, ছাত্রদলের কমিটি গঠন নিয়ে অসন্তোষ, ২০-দলীয় জোট ও ঐক্যফ্রন্টের ভবিষ্যৎ কৌশল নির্ধারণসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপি ও ছাত্রদলসহ সাংগঠনিক অনেক বিষয়েই আলোচনা হয়েছে। তবে কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।
বৈঠক সূত্র জানায়, স্থায়ী কমিটির দুজন জ্যেষ্ঠ সদস্য দলীয় সাংসদদের শপথ নেওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তখন স্কাইপে যুক্ত ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০:৫০ এ.এম, ১৬ জুন ২০১৯
ইব্রাহীম জুয়েল