কচুয়া

কচুয়ায় প্রবাসীর স্ত্রী’কে মারধর করে আহত

চাঁদপুর কচুয়ায় দারাশাহী-তুলপাই গ্রামে ফাতেমা আক্তার মেঘলা নামের এক সিলেটি মেয়ে তার শ্বশুর বাড়ীর লোকজন কর্তৃক নির্মম অত্যাচারের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এমনটি ওই গৃহবধু নির্মম ভাবে অত্যাচারের শিকার হয়ে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থাকলেও গত চার দিন ধরে তার চিকিৎসার খোজ-খবর নিচ্ছে না শ্বশুর পরিবার। এ অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার অভাবে হাসপাতালের বেডে ধুকে ধুকে মরছে নারীটি।

স্থানীয়রা জানান, চার বছর পূর্বে ঢাকার কামরাঙ্গিরচর ভাড়াটিয়া বাসায় থাকা কালিন পরিচয় হয় ফাতেমা আক্তার মেঘলার সাথে চাঁদপুরের কচুয়ার দারাশাহী তুলপাই গ্রামের যুবক ইমাম হোসেনের সঙ্গে। ভাল লাগা থেকে একে অপরকে পছন্দ করে বিয়ে করে।

এরই মধ্যে তাদের গৃহে আরাফাত হোসেন (৩) নামের একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। স্বামী ইমাম হোসেন প্রায় ৬ মাস পূর্বে গোপনে তাকে কিছু না বলে পাড়ি জমায় ওমানে। বর্তমানে স্বামীর অনুপস্থিতিতে খোজ খবর না নেয়ায় শ্বাশুড়ী ও অন্যান্য স্বজনরা মিলে তাকে কয়েক দফা বেধম মারধর করে আহত করে।

কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধিন আবেগ জড়িত কন্ঠে এসব কথা বলেন শ্বশুর পক্ষের লোকজনের হামলার শিকার গৃহবধু মেঘলা ।

সিলেট ওচমানি মেডিকেল এলাকার রমজান হোসেন ঢাকার কামরাঙ্গিরচর এলাকায় থাকা অবস্থায় ইমামের সঙ্গে মেঘলার বিয়ে হওয়ায় তার বাবা মা এ বিয়ে মেনে নেয়নি। সে থেকে মেঘলার শ্বশুর বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ার দারাশাহী তুলপাই গ্রামে স্বামীর সঙ্গে বসবাস করে আসছে।

গৃহবধু ফাতেমা আক্তার মেঘলা জানান, চারদিন পূর্বে শ্বাশুড়ি আঞ্জুমান বেগম তুচ্ছ ঘটনায় ছেলের মামা শ্বশুর নুরুল ইসলাম ও খালা শ্বাশুড়ি মঞ্জুমান বেগম ও তার পুত্র আরিফ হোসেন দিয়ে তাকে বেধম মারধর করে শিশুপুত্র ইয়ামিনকে রেখে ঘর থেকে বের করে দেয়।

পরে তার ডাক চিৎকারে স্থানীয় ইউপি সদস্য খাজা মিয়া ও মহিলা সদস্য নাছিমা বেগম এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করায়।

বর্তমানে তার কোমর ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্বক ফুলা জখম ও কামরের দাগ নিয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধিন থাকলেও শ্বশর পক্ষের কেউ চিকিৎসার খোজ খবর নিচ্ছেনা।

স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হালিম, যুবলীগ নেতা মহিউদ্দিন আল মাসুম ও শ্রমিকলীগ নেতা মোস্তফা কামাল বলেন, সাধারণত সিলেটি মেয়েদের অন্য জেলায় বিয়ে হয় না। কিন্তু এই মেয়েটিকে এই গ্রামে বিয়ে হওয়ার পর থেকে তার স্বামী, শ্বাশুরী বিভিন্ন সময় কারণে অকারণে মারধর করে অজুহাত দেখিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।

এদিকে ওই অসহায় নারীকে বিনা কারনে মারধরের জন্যে তার শ্বাশুড়ি আঞ্জুমান বেগমসহ দোষীদের শাস্থির দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।

কচুয়া থানার ওসি মোঃ আতাউর রহমান ভূইয়া বলেন, ‘খবর পেয়ে বুধবার বিকেলে থানার এসআই মোঃ আবু হানিফ কে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। মেয়েটি অভিযোগ দিলে আইনগত সহায়তা প্রদান করা হবে।’

প্রতিবেদক:জিসান আহমেদ নান্নু
২৬ ডিসেম্বর,২০১৮

Share