চাঁদপুর কচুয়ায় উপজেলার দারাশাহী তুলপাই উচ্চ বিদ্যালয়-মেঘদাইর-বাঁচাইয়া সড়ক ও ধারাশাহী তুলপাই বাজার হতে তুলপাই বেড়িবাধ সড়কে নির্মানাধীন কাজ ধীর গতিতে হওয়ার কারণে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে এলাকাবাসী। গত কয়েক দিনে টানা অতি বৃষ্টিতে রাস্তা দুটিতে জন চলাচলে ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।
বিশেষ করে রাস্তা দুটির পাকা করণ কাজের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারের লোকজন দু’পাশে মাটি কেটে দিনের পর ফেলে রাখায় একটি বৃষ্টিতে কাদা জমে চলাচলে অনুপযোগি হয়ে পড়েছে।এলাকাবাসী নির্মান কাজে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ করছেন।
জানা গেছে, তুলপাই বাজার-তুলপাই কুমার বাড়ি বেড়ীবাধ রাস্তা উন্নয়ন কাজের ভিত্তি প্রস্তর ২০১৬ সালের ২৩ ডিসেম্বর উদ্বোধন করা হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর রাস্তাটির উদ্বোধনের প্রায় ৩ বছর হলেও এবং তুলপাই বাজার-সহদেবপুর সড়কের ১ কিলোমিটার রাস্তার ভিত্তিপ্রস্তর প্রায় ৬ মাসে আগে উদ্বোধন হলেও আজও কাজ শেষ না হওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
দারাশাহী-তুলপাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.জহিরুল ইসলাম চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘আমার বিদ্যালয়ে পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। রাস্তা দুটি পাকা করণের প্রক্রিয়া হলেও ঠিকাদার কতৃক মাটি কেঁটে পাকার উদ্যোগ না নেয়ায় শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর চলাচলে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। বিগত দিনে স্কুলে আসার সময় অনেক শিক্ষার্থী রাস্তায় পরে বই খাতা নষ্ট হওয়ায় সহ মারাত্মক আহত হয়েছে বলে তিনি জানান।’
দারাশাহী-তুলপাই বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. শরীফুল ইসলাম মিয়া চাঁদপুর টাইমসকে বলেন,‘রাস্তা দুটি মাটি তুলে এলোমেলো করে রাখায় ক্রেতা ও যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, পাকা করণ করলে দ্রুত করা হোক, না হয় পূর্বের কাঁচা রাস্তায় রূপ দেয়া হোক।’
রিক্সা চালক ইউসুফ মিয়া ও হান্নান মিয়াসহ একাধিক লোকজন জানান, ‘রাস্তা দুটির দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার আলী আশরাফ মিয়া ও আব্দুল মিয়া আমাদের গ্রামবাসী ইচ্ছা করে হয়রানী করছে। রাস্তা দুটি দ্রুত পাকা করণের জোরদাবী জানান তারা।’
ফলে এই রাস্তা দিয়ে দারাশাহী তুলপাইগামী শিক্ষার্থী, বাজারমুখী ক্রেতা বিক্রেতা ও বিভিন্ন যানবাহান চলাচলে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির মধ্য দিয়েই পথ চলছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ রাস্তা দুটির দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার মো. আলী আশ্রাফ ও মমিন মিয়া সাধারণ মানুষকে হয়রানির উদ্দেশ্যে পাকাকরণ কাজ ধীর গতি ভাবে চালাচ্ছে।
ঠিকাদার আব্দুল মমিনের ছেলে সুমন মিয়া জানান, ‘কাজটি চাঁদপুরের একজন ঠিকাদারের ছিল। পরে আমরা কাজ পেয়েছি। তবে ইতোমধ্যে কাজ ধরা হবে বলে তিনি জানান। এব্যপারে উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ জাকির হোসেনের বক্তব্য জানতে বার বার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।’
প্রতিবেদক:জিসান আহমেদ নান্নু
৮ মার্চ,২০১৯