কচুয়া

কচুয়ায় সরিষা চাষে বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

চাঁদপুর কচুয়ায় মাঠে মাঠে বিস্তর এলাকা জুড়ে সরিষার ব্যাপক চাষ-আবাদ হয়েছে। হলুদ ফুলে ভরে আছে জমিগুলো। ফুলের মৌ মৌ গন্ধ সুবাস ছড়াচ্ছে পুরো এলাকায়। আকৃষ্ট করছে মৌমাছিসহ সকল প্রকৃতির প্রেমিককে। এবার প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে, ফলন ভাল হবে বলে আশা করছেন কৃষকরা।

কচুয়া উপজেলা সরিষা ফুলে ভরে গেছে ফসলের মাঠ। চারদিকে তাকালে যেন সবুজের ফাকে হলুদের সমাহার। কখনো কখনো সরিষার ক্ষেতে বসছে পোকাখাদক বুলবুলি ও শালিকের ঝাঁক। অনেকটা প্রতিকূল আবহাওয়ার পরও এ বছর প্রায় ২’শ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

আশারকোটা গ্রামের কৃষক মফিজুল ইসলাম, লিটন ও কাউছার আলম বলছেন, সরিষার গাছ ভালো হয়েছে। ভালো ফুল ফুটেছে বলে ভালো ফলনও আশা করা যায়। সরিষার ফুলে ফুলে হলুদ বর্নের বর্ণিল জমি গুলোতে আশে পাশে দুর দুরান্ত থেকে স্কুল কলেজের সৌখিন প্রকৃতি প্রেমিকরা বেড়াতে আসছেন।

আবার সরিষার ফুলের সৌন্দর্যকে ধরে রাখার জন্য অনেক তরুন-তরুনীরা নিজেদের ক্যামারা ও ভিডিও মাধ্যমে নিজের ছবির সাথে সরিষার ফুলের ছবি ধরে রাখছেন।

কচুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আহসান হাবীব জানান, ‘গত বছরের চেয়ে এ বছর কচুয়ায় সরিষা আবাদে আগ্রহী বেশী সংখ্যক কৃষকরা। উপজেলার উচু জমির পাশা পাশি পলি অঞ্চলে বন্যার পর মাটির উবর্রতা শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বছর ব্যাপক হারে সরিষার উৎপাদন সম্ভব। সরিষা কৃষকের স্বপ্ন পূরনের পাশাপাশি ভোজ্য তেলের ঘাটতি পূরনেও বিশেষ ভূমিকা রাখবে । প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকলে ও কোনো রকম রোগ বালাই না ধরলে, সরিষা চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি আশা করছেন। তবে সরকারের সরিষা প্রনোদনা থাকায় সরিষা আবাদে কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে অনেকটাই।’

প্রতিবেদক:জিসান আহমেদ নান্নু
৬ জানুয়ারি,২০১৯

Share