চাঁদপুর কচুয়া উপজেলার উত্তর নোয়াগাঁও গ্রামে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে হামলায় গুরুতর আহত স্কুল ছাত্র মো.জুনাইদ হোসেন (১৪) বর্তমানে ঢাকার লামাটিয়া স্কয়ার হাসপাতালে আইসিউতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। অর্থের অভাবে তাকে উন্নত সেবা দেয়া যাচ্ছে না বলে তার গরীব পরিবার দাবি করছে।
অন্যদিকে হামলাকারী আলাউদ্দিনের বাবা খোরশেদ আলম ঘটনার পর জুনাইদের চিকিৎসার জন্য তার অসহায় পরিবারকে নামে মাত্র সহযোগিতা করে বর্তমানে আর সহযোগিতা না করেই ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন।
জানা গেছে, গত ৭মার্চ (বৃহস্পতিবার) রাতে কচুয়া উপজেলার উত্তর নোয়াগাঁও গ্রামে স্থানীয় যুবকদের উদ্যোগে আয়োজিত শর্ট বাইন্ডারী নাইট কাপ মিনি কিক্রেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়।
উদ্বোধনী ওই খেলার শেষ পর্যায়ে রান নেয়াকে কেন্দ্র করে খেলোয়ার জুনাইদ হোসেন ও আলাউদ্দিনের মাঝে তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে আলাউদ্দিন উত্তেজিত হয়ে স্ট্যাম্প দিয়ে খেলোয়ার জুনাইদ হোসেনের মাথায় সজোড়ে আঘাত করে। এতে জুনাইদ হোসেন ঘটনাস্থলে মাটিতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়।
পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে স্কুল ছাত্র জুনাইদ হোসেনকে প্রথমে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার অবস্থা বেগতিক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে।
সেখানে আবাসিক ডাক্তার মো. রফিকুল ইসলামের তত্ত্ববধানে প্রায় দেড় মাস সরকারি সহায়তায় ও বিভিন্ন কম খরচে চিকিৎসার পর তার অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার লালমাটিয়া একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিউতে ভর্তি করা হয় বলে তার মা রাবেয়া বেগম জানান।
বর্তমানে তার চিকিৎসা সেবা পরিচালনা করতে অনেক টাকার প্রয়োজন। কিন্তু তার বাবা কৃষক ও সহায় সম্বলহীন হওয়ায় তার পক্ষে এতো টাকা যোগান দেয়া সম্ভব হচ্ছে না এবং হামলাকারীর পরিবার ধরা না দেয়ার বিপাকে রয়েছে জুনাইদের ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইসমাইল হোসেন, অধিবাসী মো. শহীদ উল্যাহ, মো. সোলেমান মিয়া, যুবক মেহেদী হাসানসহ আরো অনেকে জানান, কচুয়ার নোয়াগাঁও গ্রামের অধিবাসী কৃষক আবু ইউসুফ তার ৩ ছেলে ১ মেয়ে নিয়ে অতি কষ্টে জীবন নির্বাহ করে আসছে।
হামলাকারী আলাউদ্দিনের বাবা মো. খোরশেদ আলম প্রভাবশালী হওয়ায় জোনাইদের চিকিৎসা সেবায় কিছু টাকা দিয়ে বর্তমানে তার জীবন নিয়ে টালবাহানা শুরু করেছে। বর্তমানে খোরশেদ আলম বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে তার ছেলে মো.মাহমুদুল হাসানের পার্শ্ববতী বাড়ীতে রাত্রি যাপন করে আসছে।
এক দিকে ছেলের ভবিষ্যৎ ও চিকিৎসাশেষে তার ভালো হওয়া নিয়ে চিন্তায় উদ্বিগ্ন তার অসহায় পরিবার। অপরদিকে নিরীহ স্কুল ছাত্র জুনাইদ হোসেনের ওপর হামলাকারী আলাউদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং তাকে উন্নত চিকিৎসা দিতে সকল দায় দায়িত্ব হামলাকারীর পরিবারকে নিতে হবে বলে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সচেতন এলাকাবাসী।
স্টাফ করেসপন্ডেট
৩০ এপ্রিল ২০১৯
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur